গ্যাংস্টারদের দখলে উত্তাল হাইতি, ক্ষুধার ভয়ে সাধারণ জনগণ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০১:০৯ এএম
চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশ হাইতিতে। গ্যাংস্টারদের দখলে থমথমে পরিবেশ চারদিকে। রাজধানী পোর্ট-অ-পিন্সের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বিমানবন্দর দখলের চেষ্টার পর ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে ক্ষুধার ভয়ে দিন পাড় করছে দেশটির অধিকাংশ সাধারণ জনগণ।
প্রতিনিয়তই নিরাপত্তাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা ভুগছে বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে বেড়েছে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা। অস্থায়ী শিবিরে কোনোরকম দিন পাড় করছে তারা। কিন্তু সেখানে পয়ঃনিষ্কাশন, খাবারের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব। বিবিসি।
হাইতিতে অস্থিরতা শুরুর পর থেকেই অস্থায়ীভাবে বাস করছে ১০০টি পরিবার। তাদের সেই আবাসস্থল মানুষের বসবাসের উপযুক্ত না। খাবারের জন্যও বাসিন্দাদের অবিরত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
ক্লান্তকণ্ঠে এমনই বললেন এক বাসিন্দা সারাহ। এক বছর আগে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের একটি শহরতলিতে বসবাস করতেন তিনি। চলমান সহিংসতায় তিনিও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সরাহ বলেন, ‘কখনো কখনো আমরা খাবার খুঁজে পাই, কখনো কখনো আমরা পাই না। আমি কোনো খাবার ছাড়াই স্কুলে যাই, ক্ষুধার্ত দিন কাটাই এবং তারপরও পেটে কিছুই না নিয়েই ঘুমাতে যাই।’ এমনকি ক্যাম্পের অনেকেই অসুস্থতায় ভুগছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। রাস্তাঘাটে প্রায় প্রায়ই দেখা যাচ্ছে অজ্ঞাত লাশ। এতেও ভয় পেয়ে বাসিন্দারা শহর থেকে দ্রুত পালাচ্ছেন।
বর্তমানে দেশটিতে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ৩৬০,০০০ এরও বেশি। মূলত দরিদ্রতম দেশ হাইতির জনগণ বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু চলতি মাসে ‘বার্বিকিউ’ নামে পরিচিত দেশটির গ্যাং লিডার জিমি চেরিজিয়ার প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির পদত্যাগের দাবি তোলে।
সহিংসতার একপর্যায়ে কারাগার থেকে ৪০০০ কর্মী পালিয়ে যায়। দেশটির মূল বিমানবন্দর দখলেরও চেষ্টা চালানো হয়। ২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসকে হত্যার পর থেকেই মাসব্যাপী অশান্তি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে হাইতিতে।