চালে গরুর মাংসের কোষ তৈরির মাধ্যমে নতুন ধরনের চাল তৈরি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিফ রাইস’। গরুর মাংসের চালের রং অনেকটা গোলাপি। এই চালে প্রচলিত চালের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ বেশি প্রোটিন এবং ৭ শতাংশ বেশি চর্বি থাকে। এই প্রোটিনের ১৮ শতাংশ প্রাণিজ প্রোটিন। ফলে এই চাল অ্যামিনো অ্যাসিডের ভালো উৎস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিউলের ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিঙ্কি হং এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। চলতি মাসে ‘ম্যাটার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি।
ভবিষ্যতে গবাদি পশুর মাংসের পরিবর্তে এটি প্রোটিনের একটি ভালো, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উৎস হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী তারা।
অধ্যাপক জিঙ্কি হং বলেছেন, চালের মধ্যে গরুর মাংসের পুষ্টিসহ এই ধরনের খাবার এই প্রথম এলো। চালের ভেতর গরুর পেশি এবং চর্বির কোষ তৈরির মাধ্যমে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
ল্যাব-উৎপাদিত মাংসজাত পণ্য নিয়ে শুধু ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলটিই নয়, আরও অনেকেই কাজ করেছে আগে। সারা বিশ্বে নানা কোম্পানি ল্যাবে উৎপাদিত মাংস তৈরি ও বাজারজাত করেছে। সম্প্রতি সয়া থেকে তৈরি করা কৃত্রিম মুরগি এবং ঈল সিঙ্গাপুরে বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। আছে বাদামের মাংসও।
তবে অধ্যাপক জিঙ্কি হংয়ের গবেষক দলটি বলছে, সয়া বা বাদামের বদলে কৃত্রিম মাংসের চাল তৈরি বেশি নিরাপদ। কারণ তুলনামূলক কম মানুষের চালে অ্যালার্জি থাকে।
জিঙ্কি হং বলেন, যদি সফলভাবে বিকশিত হয়, গরুর মাংসের চাল একটি টেকসই প্রোটিন উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। বিশেষ করে এমন পরিবেশে, যেখানে পশুপালন করা সম্ভব না।