প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির পাশে তার ছোট মেয়ে আসিফা ভুট্টো। ছবি:জিইও নিউজ।
পাকিস্তানের ১৪ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে রোববার শপথ নিয়েছেন আসিফ আলি জারদারি। যেকোনো দেশে সাধারণত প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ফার্স্ট লেডির পদমর্যাদা পেয়ে থাকেন। তবে প্রেসিডেন্ট জারদারির স্ত্রী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো নিহত হয়েছিলেন ২০০৭ সালে।
বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুর পর আর বিয়ে করেনিনি জারদারি। এমনকি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদেও পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডির পদটি শূণ্য ছিল।
দ্বিতীয় মেয়াদে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি কে হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে আলোচনা জোরালো হয়েছে। খবর জিইও নিউজের।
সোমবার দ্য নিউজ জানিয়েছে, ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট হাউসে জারদারির শপথ অনুষ্ঠানের সময় সঙ্গে ছিলেন তার ছোট মেয়ে আসিফা ভুট্টো (৩১ বছর)।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জারদারির শপথ গ্রহণের আগেই আসিফা ভুট্টো পাকিস্তানের পরবর্তী ফার্স্ট লেডি হতে পারেন তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বড় মেয়ে বখতাওয়ার ভুট্টো।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে একটি টুইটারের পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, 'প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির সমস্ত আদালতের শুনানি থেকে জেল থেকে মুক্তির জন্য লড়াই আর এখন - পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি হিসেবে তার পাশে'। পোস্টের শেষে আসিফা ভুট্টোর নাম যুক্ত করা হয়েছিল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেও আসিফাকে সক্রিয়ভাবে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিফি) নির্বাচনি প্রচারে দেখা গেছে। আর তার ভাই বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পক্ষে সমর্থন চাওয়ার জন্য বিভিন্ন সমাবেশে বক্তৃতাও করেছেন আসিফা।
আরব নিউজ জানিয়েছে, ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর -এ মুলতানে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সমাবেশে আসিফা সর্বপ্রথম তার রাজনৈতিক আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
এর আগেও অনেকদেশে যেসব প্রেসিডেন্টর স্ত্রী ছিল না তাদের তাদের কন্যা, বোন এবং এমনকি ভাতিজি সেই দেশের ফার্স্ট লেডি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের স্ত্রী না থাকায় তার ভাগ্নি এমিলি ডনেলসনকে দেশের ফার্স্ট লেডি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। অন্য দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট - চেস্টার আর্থার এবং গ্রোভার ক্লিভল্যাণ্ডের বোনও ফার্স্ট লেডি'র পদমর্যাদা পেয়েছিলেন।