বাঁ থেকে- জরিনা মোল্লা ও রেণু খাতুন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক গৃহবধুর হাত কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। রোববার সকালে বাসন্তী থানার শ্রীরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর জখম জরিনা মোল্লা (৩০) নামে ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী শাহজাহান মোল্লা পলাতক রয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আক্রান্ত নারীর বাঁ হাত দেহ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গেছে। পায়ের শিরাও কেটে দেওয়া হয়েছে এবং পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে পুলিশ জানায়, দীর্ঘ দিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল। সপ্তাহখানেক আগে দুজনের মধ্যে তালাক হয়ে যায়। এর পর রোববার সকালে হঠাৎ হামলার শিকার হন জরিনা।
এর আগে ২০২২ সালে কাটোয়ার রেণু স্বামীর হাতে একইভাবে হামলার শিকার হয়েছিরেন। তবে পুরো হাত নয়, রেণুর ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে দেওয়া হয়েছিল। পরে রেণুর হাত প্রতিস্থাপন হয়।
সেই সময় পুলিশ জানিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তালগ্রামের এক চাচাতো ভাই ও তার দুই সঙ্গীকে নিয়ে রেণুর হাত কাটার পরিকল্পনা করেন স্বামী শের মহম্মদ। একটি স্কুটারে শেরসহ চারজন কেতুগ্রামের কোজলসার বাড়িতে পৌঁছায়। রাত ১০টার দিকে ঘুমন্ত রেণুর মুখ বালিশ দিয়ে চেপে ধরেন শের। পা চেপে ধরেন তার চাচাতো ভাই। বাকি দুজন টিন কাটার কাঁচি দিয়ে রেণুর ডান হাত কাটারির কোপে কব্জি কেটে নেন।
রেণুকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ‘কাটা হাত’ নিয়ে আসার নাম করে লাপাত্তা হয়ে যান শের। পরে অবশ্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।