Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

হাইতিতে গৃহযুদ্ধ, গণহত্যার হুমকি গ্যাং লিডারের

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম

হাইতিতে গৃহযুদ্ধ, গণহত্যার হুমকি গ্যাং লিডারের

দিন দিন পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে উত্তর আমেরিকার দেশ হাইতিতে। ব্যাপক সহিংসতায় উদ্বেগের মাত্রা দিন দিন বাড়ছেই। 

চলতি সপ্তাহে সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় কারাগার থেকে পালিয়েছেন ৪ হাজার কয়েদি। পাশাপাশি বিমানবন্দরের দখলের চেষ্টাও চালিয়েছেন তারা। সবমিলিয়ে চারদিকে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে দেশটিতে। 

এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সবাইকে আরেক দফা আতঙ্কিত করে গৃহযুদ্ধ এবং গণহত্যার হুমকি দিল হাইতির এক গ্যাং লিডার। ‘বারবিকিউ’ নামে পরিচিত সেই গ্যাং লিডারের নাম জিমি চেরিজিয়ার। নয়টি হাইতিয়ান গ্যাং ‘জি-৯ ফ্যামেলি অ্যান্ড অ্যালাইস’ কনফেডারেসি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।

বুধবার এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে , হাইতিতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির পেছনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর বড়  উদ্দেশ্য রয়েছে। মূলত দেশটির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির অবিলম্বে পদত্যাগ চাচ্ছেন তারা। তাদের কথা না মানলেই গৃহযুদ্ধ এবং গণহত্যা বাধবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি করেছেন দলটির নেতা। 

রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জিমি জানান, ‘যদি এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ না করেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে সমর্থন করতে থাকে তবে আমরা সরাসরি গৃহযুদ্ধের দিকে যাব, যা গণহত্যার দিকে নিয়ে যাবে।’ 

উল্লেখ্য, কারাগার থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় রোববার ৭২ ঘণ্টার জন্য জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ জারি করে দেশটির সরকার। সেসময় ১৫ হাজার বাসিন্দাকে বিভিন্ন এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর সোমবার সশস্ত্র গ্যাংগুলো দেশটির প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টাউসাইন্ট লুভারচার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

জানা যায়, সোমবার বিকালে গ্যাংগুলো বিমানবন্দরে হামলা চালালে পুলিশ ও সেনাদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তবে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে রয়েছে এ ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে কিছু জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে সশস্ত্র এই গ্যাংগুলো। সেই লক্ষ্যে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়গুলো বেছে নিচ্ছে। 

নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বিমানবন্দর চত্বরে প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১২ জন পুলিশ নিহত হন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, পলাতক বন্দিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে, তাদের অনেকেই খুন ও অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত। 

দেশটির ‘দ্রুত নিরাপত্তা পরিস্থিতি’ নিয়ে উদ্বিগ্ন  জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এই সপ্তাহে জরুরি পদক্ষেপ বিশেষ করে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানেও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম