Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

কেন একমত হতে পারছেন না নওয়াজ-বিলাওয়াল, জানালেন কামরান

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:০৩ পিএম

কেন একমত হতে পারছেন না নওয়াজ-বিলাওয়াল, জানালেন কামরান

নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশটিতে নতুন সরকার গঠিত হয়নি। তার প্রধান কারণ কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। তবে শুরু থেকেই জোট সরকার গঠনে তোড়জোর করে আসছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পিপিপি। এ নিয়ে তারা পাঁচ পাঁচবার বৈঠক করেছে; কিন্তু সরকার গঠনে সম্মত হতে পারেনি।
  
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা শিগগিরই কেটে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশটিতে সরকার গঠন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্ভব্য জোট সরকারের প্রধান দুই শরিক পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) গতকাল সোমবার পঞ্চমবারের মতো বৈঠক করেছে। কিন্তু এখনও সরকার গঠন সংক্রান্ত সব ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসন সংখ্যা ২৬৬টি, তার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২৬৫টি আসনে। কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে।

কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির প্রার্থীরা ৯২টি আসন পেয়েছে। পিটিআইয়ের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পিএমএল-এন, তারা ৭৫টি আসন পেয়েছে। আর পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। এছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭টি, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ) ৪টি এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন।

অর্থাৎ কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আসন পায়নি। এই পরিস্থিতিতে জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পিএমএল-এন এবং পিপিপির মধ্যে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাবেক ক্ষমতাসীন দল দুটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারেনি।

এদিকে সর্বশেষ গতকালের বৈঠকটি পিএমএল-এনের জ্যেষ্ঠ নেতা ইসাক দারের ইসলমাবাদের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হওয়া বৈঠকে তৃতীয় দল হিসেবে যোগ দিয়েছিল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পার্টি (এমকিউএমপি)। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা কামরান তেসোরি জানিয়েছেন, এমকিউএমপি পিএমএল-এনকে সমর্থন করে এবং জোট সরকারের শরিক হতে আগ্রহী।

তিনি আরও জানান, পিএমএল-এন এবং পিপিপির মধ্যে দ্বন্দ্ব মূলত সরকারি মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়ে।

কামরান তেসোরি সাংবাদিকদের বলেছেন, আসিফ আলি জারদারিকে (পিপিপির কো-চেয়ারম্যান এবং দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বাবা) পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে কারোর আপত্তি নেই, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের বণ্টন নিয়ে এখনও কোনো সুরাহায় পৌঁছানো যায়নি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম