কেন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না নওয়াজ শরিফ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফ, এটা অনেকটা অবধারিত ছিল। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন বলেছিল, নওয়াজ শরিফ যদি এবার নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী না হন, তবে তা হবে আশ্চর্যজনক। এবার তাই সত্য হলো।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ। পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ সম্প্রতি তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তবে নওয়াজ এমনটা কেন করলেন, তা জানা নেই কারো।
জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পিএমএল-এনের ধারণা ছিল, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করবে তারা। আর সহজেই দেশটির চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ। তবে অনেক জলঘোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে রীতিমতো টানাহেঁচড়া করেছেন বিলাওয়ালের দল।
নির্বাচনের আগেও বিলাওয়াল বলেছিলেন, নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন না। তিনি আরও বলেছিলেন, নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী হলে ফের প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু হবে। নির্বাচনের পরও নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায়নি পিপিপি। শুরুতে তাদের দাবি ছিল, নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী করা হলে জোট করবে না পিপিপি।
যে পদ নিয়ে এতো কথা, এতো টানাটানি। হয়তো এ কারণেই নওয়াজ ছেড়ে দিয়েছেন সেই পদ।
অনেকের ধারণা, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে গেছেন নওয়াজ। তবে তা মোটেও না।
এ বিষয়ে বুধবার এক্সে (টুইটারে) একটি পোস্ট দিয়েছেন মরিয়ম। পোস্টে মরিয়ম জানান, আগামী পাঁচ বছর সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরছেন না নওয়াজ শরিফ। পিএমএল-এনের নেতৃত্বে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে গঠিত হতে যাওয়া সরকারে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করবেন তিনি।
মরিয়ম বলেন, নিজেকে ও চাচা শাহবাজ শরিফকে ‘নওয়াজের সৈনিক’ উল্লেখ করে মরিয়ম বলেন, শাহবাজ শরিফ আর আমি তার (নওয়াজ) সৈনিক। আমরা তার নির্দেশ মেনে এবং তার নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে কাজ করব। আল্লাহ আমাদের সফলতা দান করুন। আমিন।
মরিয়মের কথায় এতটুকু ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রধানমন্ত্রীর আসনে না বসলেও, দূর থেকে কলকাঠি নাড়বেন নওয়াজ।
৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই জোট সরকার গঠনের তৎপরতা শুরু করে দলগুলো।
নির্বাচনের পাঁচ দিন পর গত মঙ্গলবার পিএমএল-এন, পিপিপিসহ সমমনা দলগুলো নতুন জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়। সূত্র জানিয়েছে, সরকার গঠনের পর ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হতে পারে। এটা সামনে রেখে জাতীয় পরিষদ সচিবালয় কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।