গৃহবন্দী হবেন না ইমরান, জেলে ফিরতে চান বুশরা বিবিও
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২১ এএম
পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মঙ্গলবার গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, পিটিআই-এর প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দী ইমরান খানকে আদিয়ালা জেল থেকে ইসলামাবাদের বানি গালায় নিজ বাসভবনে স্থানান্তর করা হবে। সেখানেই গৃহবন্দী থাকবেন তিনি। তবে নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাক্সে ‘হ্যাশট্যাগ (#) বানিগালা’ লিখে বিভিন্ন পোস্ট ও ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় ইমরান খানকে বানি গালায় স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। তবে গণমাধ্যমগুলোর কাছে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি দায়িত্বশীল কোনো পক্ষই।
এদিকে মঙ্গলবার দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগার থেকে পাঠানো এক বার্তায় ইমরান খান জানিয়েছেন, জেল থেকে তিনি তার ইসলামাবাদের বাড়িতে স্থানান্তর হচ্ছেন না। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত আদিয়ালা জেলে বন্দি আছেন।
কারাগার থেকে পরিবারের মাধ্যমে পাঠানো ওই বার্তায় ইমরান খান বলেছেন, ‘জাতি জেগে উঠেছে। পাকিস্তানের ইতিহাসে জনগণ আমাদের সবচেয়ে বড় ম্যান্ডেট দিয়েছে। এই আদেশটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব।’
বার্তায় পিটিআই নেতাদের যেখানেই সরকার গঠন করতে হবে সেখানে কাজ শুরু করার আহ্বান জানান ইমরান খান।
এদিকে ইসলামাবাদের বাড়ি থেকে জেলে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন গৃহবন্দী থাকা ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি। সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বানি গালা থেকে আদিয়ালা জেলে স্থানান্তরের জন্য বুশরা বিবির আবেদনের শুনানি হবে বলে স্থির করেছে। রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জারি করা আদালতের কার্য তালিকা অনুযায়ী, বিচারপতি মিয়া গুল হাসান আওরঙ্গজেব ওই মামলাটি গ্রহণ করবেন।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বুশরা বিবি তার আবেদনে ‘সমান অধিকারের নীতি’ উদ্ধৃত করে আদিয়ালা জেলে সাজা ভোগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি যুক্তি দেন—অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মীদের মতো, তাঁকেও কারাগারে সাধারণ বন্দীদের মধ্যে রাখা উচিত।
উল্লেখ্য, ইদ্দত নিকাহ মামলায় বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং তোশাখানা মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই সাজা ভোগ করার জন্য ইসলামাবাদের বানি গালায় অবস্থিত তাদের বাড়িটিকে কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছে।