নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার দাবি ইমরান খান ও নওয়াজ শরীফের
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২১ এএম
কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের ১৬তম সাধারণ নির্বাচনে জয় দাবি করেছেন এবং তার কর্মী-সমর্থকদেরকে এই বিজয় উদযাপন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের মোট আসন সংখ্যা ২৬৬টি (একটি স্থগিত)। এর মাঝে ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে।
কিন্তু আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলছেন, তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগই (পিএমএল-এন) এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল।
এই কারণে তিনি অন্যদেরও তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হলেও প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কোনও দলই এই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয় লাভ করেনি।
ইমরান খান এখন পাকিস্তানের কারাবন্দী। নির্বাচনের কিছুদিন আগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি পাচারের অভিযোগ আনে সরকার। যদিও তিনি দাবি করেন যে তার বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
নির্বাচনে তার দলের প্রার্থীরা এগিয়ে থাকায় জেল থেকেই তিনি তার ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা এক ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন।
এক্সে পোস্ট করা সেই ভিডিওতে তিনি দাবি করেন যে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর ওপর শত দমন-পীড়ন চলা সত্ত্বেও তারা এই নির্বাচনে ‘ভূমিধস বিজয়’ অর্জন করেছেন।
তার দল সমর্থিত প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য তিনি ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি সেখানে নওয়াজ শরীফকে একজন ‘দুর্বল নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেন। সেইসাথে, তিনি আরও বলেন যে পাকিস্তানি নাগরিকরা তাকে চায় না।
এবারের নির্বাচনের শুরু থেকেই একটা কানাঘুষা ছিলো যে দিনশেষে জিতবেন নওয়াজ শরীফই। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা এর কারণ হিসেবে বলছিলেন যে নওয়াজ শরীফের দিকে দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সুনজর আছে।
কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনাকে ছাপিয়ে পিটিআই সমর্থিতদের এমন সাফল্য তথা জয় অপ্রত্যাশিত।
পিটিআই প্রার্থীরা ‘ক্রিকেট ব্যাট’ প্রতীকের অধীনে নির্বাচন করতে পারবে না, নির্বাচন কমিশন এরকম একটা আইন জারি করায় এই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য হয়েছিলো।
কারণ, দলীয় প্রতীক না থাকা মানে সেটি কোনও স্বীকৃত দল নয়। সেই নিরিখে, বর্তমানে নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন হচ্ছে সবচেয়ে বড় আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক দল।
নির্বাচনের পরদিন, অর্থাৎ শুক্রবার, আটই ফেব্রুয়ারি এক বক্তব্য নওয়াজ শরীফ নিজেই স্বীকার করেন যে সরকার গঠন করার মতো আসন সংখ্যা তার দলের নেই। তখন তিনি অন্য দলের প্রার্থীদেরকে তার সাথে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তিনি দেশকে কঠিন সময় থেকে বের করে আনতে পারবেন।