ইয়েমেনের ৩৬ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা, কারণ জানাল যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১০ পিএম
জর্ডানে ২৮ জানুয়ারি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহতের ঘটনার জবাবে ইরাক ও সিরিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার ইয়েমেনে হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য।
ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পর এবার ইয়েমেনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার রাতে ইয়েমেনের ১৩ জায়গায় ইরানসমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার কারণ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনের ৩০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
তিনি বলেছেন, ইরানসমর্থিত হুথিদের বেপরোয়া ও অস্থিতিশীল হামলার ক্ষমতা খর্ব ও ব্যাহত করাই এই হামলার উদ্দেশ্য।
এক বিবৃতিতে অস্টিন আরও বলেছেন, যৌথবাহিনী হুথিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্র মজুতের স্থান, ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও রাডার রয়েছে— এমন ১৩টি স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
তবে অস্টিন বা যৌথবাহিনীর বিবৃতিতে কোন কোন জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। হুথিদের আল-মাসিরাহ টিভি বলছে, সানা ও অন্যান্য স্থান ছিল হামলার লক্ষ্যস্থল।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রয়াল এয়ার ফোর্স টাইফুন হামলা ও শত্রুপক্ষের অবস্থান জানার উদ্দেশে ড্রোন পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়— এমন দুটি স্থান লক্ষ্য করে হামলা করেছে।
গতকাল মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, হুথিদের ছয়টি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে হামলা চালানো হয়েছে। লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার উদ্দেশ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে মার্কিন বাহিনী।
গতকাল মার্কিন বাহিনী আরও বলেছে, একদিন আগে ইয়েমেনের কাছে তারা আটটি ড্রোনগুলো করে ভূপাতিত করেছে।
হুথিদের মুখপাত্র নাসর আল দিন আমের গতকালের হামলার পর বলেছেন, হয় আমাদের, ফিলিস্তিন ও গাজায় শান্তি থাকবে, নয়তো আমাদের অঞ্চলে তোমাদের জন্য কোনো শান্তি ও নিরাপত্তা থাকবে না।
হুথিরা গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ ও গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা।
মূলত লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ দুটি হুথি বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।