টেলিভিশনের লাইভ চলাকালে বন্দুকধারীদের তাণ্ডব
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
টেলিভিশনে লাইভ প্রোগ্রাম চলার সময় স্টুডিওতে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছেন মাস্ক পরিহিত বন্দুকধারীরা। এ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, কর্মীদের ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় বেশ কয়েকজন কর্মীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মেঝেতে বসিয়ে রাখা হয়।
গুয়ায়াকিল শহরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল টিসির একটি লাইভ প্রোগ্রাম প্রচারের সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই অস্ত্রধারীদের স্টুডিও থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তবে তারা ওই টিভি চ্যানেলের বেশ কয়েকজনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী কারণে টেলিভিশনের ওই লাইভ প্রোগ্রামে বন্দুকধারীরা এভাবে তাণ্ডব চালাল তা এখনো পরিষ্কার নয়। দেশটিতে এর আগে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সর্বোচ্চ-নিরাপত্তা থাকার পরেও মাদক চক্রের কুখ্যাত এক নেতার কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং সহিংসতায় জর্জরিত দেশটির বেশ কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেশজুড়ে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যেই টিভি চ্যানেলের এই ঘটনা সামনে এলো। মঙ্গলবার টিভি স্টেশনে তাণ্ডব চালানোর সময় এক বন্দুকধারী বন্দিদের মধ্যে একজনের মাথায় একটি পাম্প-অ্যাকশন শটগান ধরে রাখেন। ওই একই ব্যক্তিকে অন্য একজনও রিভলবার দিয়ে ভয় দেখাচ্ছিল।
গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণ করেন ড্যানিয়েল নোবোয়া। ইকুয়েডরের রাস্তা এবং কারাগারে আগামী দুই মাসের জন্য সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। দেশটির কুখ্যাত অপরাধী জোসে অ্যাডলফো ম্যাকিয়াস ওরফে ফিটোকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, আগামী ৬০ দিন রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিওতে তিনি বলেন, জরুরি অবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব পালনের সময় সব ধরনের রাজনৈতিক এবং আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইকুয়েডরবাসীর জন্য শান্তি ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আমরা কোনো আলোচনা করব না বা বিশ্রামে যাব না।
গত রোববার শক্তিশালী গ্যাং লস কোনেরসের নেতা ফিটো পালিয়ে যান। গুয়াকিলের বন্দর নগরীতে একটি কারাগার পরিদর্শন করে পুলিশ জানতে পারে যে ওই কুখ্যাত অপরাধী পালিয়ে গেছেন।