নারীদের গর্ভবতী করলেই ১৩ লাখ! অভিনব প্রতারণার ফাঁদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম

নারীদের গর্ভবতী করতে পারলেই লাখ লাখ টাকা রোজগারের সুযোগ। প্রতারণার রমরমা কারবারের পর্দাফাঁস হতেই দেশজুড়ে শোরগোল। গর্ভধারণ করতে অক্ষম নারীদের গর্ভবতী করার জন্য পুরুষদের দেওয়া হত অর্থের প্রতিশ্রুতি। আর তারপর রেজস্ট্রেশনের নামে লুটে নেওয়া হতো তাদের। বিহারের নওয়াদা এলাকায় এ চক্রের আটজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
নওয়াদা জেলায় ‘অল ইন্ডিয়া প্রেগন্যান্ট জব’ নামে একটি সংস্থা পরিচালনার জন্য আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গর্ভধারণ করতে অক্ষম নারীরা যাতে সফলভাবে সন্তান প্রসব করতে পারে সেজন্য এজেন্সিটি পুরুষদের ১৩ লাখ টাকার অফার দিত।
বিহারের পুলিশ জানিয়েছে, সারাদেশে অনলাইনে চলছিল এই ব্যবসা। নারীদের গর্ভবতী করার নামে প্রতারণা করা হচ্ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করেছে এবং তার মধ্যে আট জনকে গ্রেফতার করেছে।
নারীদের গর্ভবতী করার নামে পুরুষদের এ লোভনীয় অফার দেওয়া হতো। প্রতারণাকারী ওই চক্রের কথা ফাঁস করেছে নওয়াদার সাইবার থানা। তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা নারীদের ছবি অনলাইনে সংগ্রহ করত। এরপর তাদের থেকে ব্যক্তিগত নানা তথ্য নেওয়া হয়। সেই সমস্ত নারীদের গর্ভবর্তী করার জন্য অফার দেওয়া হতো পুরুষদের। গর্ভবতী হলে ১৩ লাখ টাকা এবং না হলে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ চক্রের সঙ্গে মোট ২৫-৩০ জন ছিনতাইকারী জড়িত ছিল। ওই অভিযানে ৯টি মোবাইল, প্রিন্টার ও ডাটা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ডিএসপি কল্যাণ আনন্দ জানান, অভিযুক্তরা ‘অল ইন্ডিয়া প্রেগন্যান্ট জব’ নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে প্রতারণা চক্রটি চালাচ্ছিল। তারা নারীদের গর্ভবতী করার নামে পুরুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। তিনি জানান, অভিযুক্তরা রেজিস্ট্রেশনের নামে অনলাইনে ৭৯৯ টাকা দাবি করতো। এরপর সিকিউরিটি ফি’র নামে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়া হত। তবে তারা কতজনের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছে তা এখনও জানানো হয়নি। অভিযুক্তদের ফোন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ।