কপ ২৮: জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম

দুবাইয়ে জাতিসংঘের কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। এ চুক্তি জীবাশ্ম জ্বালানি যুগের চূড়ান্ত সমাপ্তির সংকেত দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করাই শেষ সেরা উপায়।
অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০০ দেশ দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক তর্কবিতর্ক ও আলোচনার পর চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায়। এরপর বুধবার এ লক্ষ্যে একটি চু্ক্তিতে স্বাক্ষর করে তারা।
জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার ইচ্ছা নিয়ে বিশ্ব এখন ঐক্যবদ্ধ, এ চুক্তি থেকে বিনিয়োগকারী ও নীতি প্রণেতাদের কাছে এমন শক্তিশালী একটি ইঙ্গিত যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস্পেন বার্থ আইদা বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে এই প্রথম পরিষ্কার একটি প্রস্তাবনাকে ঘিরে বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটি একটি স্পষ্ট সমস্যা হয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা এর মোকাবেলা করতে পেরেছি।
রয়টার্স জানায়, তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার ‘ধাপে ধাপে বন্ধ করার’ বিষয়ে কপ ২৮ এর চুক্তিতে কঠোর ভাষা ব্যবহার করার জন্য শতাধিত দেশ ব্যাপক তদবির করেছিল, কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের তীব্র বিরোধিতার মুখে তারা ছাড় দিতে বাধ্য হয়। বিশ্ব নির্দিষ্ট জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা ছাড়াই দূষণ কমাতে পারে বলে যুক্তি ওপেকের।
মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এই নিয়ে তর্কবিতর্ক চলতে থাকায় সম্মেলন বুধবারের বাড়তি সময়ে গড়ায়। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে একটি চুক্তি সম্ভব হয়। এখন দেশগুলোর জাতীয় নীতি ও বিনিয়োগে চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো প্রয়োগের পালা।
প্রস্তাবিত এ চুক্তি বিশেষভাবে ‘শক্তি ব্যবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার বিষয়ে সঠিক, সুশৃঙ্খল ও ন্যায়সঙ্গতভাবে’ আহ্বান জানাবে যেন ‘বিজ্ঞান নির্দেশিত পথে ২০৫০ সালের মধ্যে নিগর্মন শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়’।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিনগুণ করারও ডাক দেওয়া হয়েছে।