জলবায়ু সম্মেলন
৪ দিনে ৫৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল ঘোষণা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম
জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৮) প্রথম চার দিনের মধ্যে বিভিন্ন খাতে ৫৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল ঘোষণা এসেছে বলে জানিয়েছেন এর সভাপতি সুলতান আল জাবের। সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এদিকে, কপ-২৮ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কপ-২৮ এ পর্যন্ত ৫৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছে। সরকার, ব্যবসা, বিনিয়োগকারী এবং সমাজসেবীরা কপ-২৮-এর প্রথম চার দিনে ঐতিহাসিক আটটি অঙ্গীকারের ঘোষণা দিয়েছে। অর্থ, স্বাস্থ্য, খাদ্য, প্রকৃতি এবং শক্তিসহ সমগ্র জলবায়ু এজেন্ডা জুড়ে ঘোষণাগুলো বিশ্বব্যাপী সংহতির শক্তি প্রদর্শন বহন করে।
৩০ নভেম্বর থেকে দুবাইয়ে শুরু হওয়া জলবায়ু সম্মেলন ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা, খরা, দাবানল বেশি হচ্ছে। এ কারণে এবারের জলবায়ু সম্মেলনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। প্রথম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল জার্মানির বার্লিনে ১৯৯৫ সালে। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কপ-২১ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো প্যারিস চুক্তিতে অনুমোদন দেয়।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা সাত বছরে দেড় ডিগ্রি ছাড়াতে পারে: জীবাশ্ম জ্বালানির মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ অব্যাহত থাকলে আগামী ৭ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
নতুন এক গবেষণায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। এ গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীরা জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক কপ-২৮ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে কয়লা, তেল ও গ্যাস দূষণের বিষয়ে ‘এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
দুবাইয়ে চলমান কপ-২৮ সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার চেষ্টা চলছে। তবে বেশির ভাগ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের জন্য দায়ি বড় দেশগুলো তেমন প্রচেষ্টা ঠেকাতে তৎপর।
জলবায়ু বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক জোটের গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টের বার্ষিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানির মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইডের দূষণ গত বছর ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। চীন ও ভারতের কার্বন নিঃসরণ ক্রমেই বাড়ছে। এ দুই দেশই এখন যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হিসাবে চিহ্নিত।
জলবায়ু বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে একাধিক বছরে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল সিস্টেম ইনস্টিটিউটের প্রধান লেখক পিয়েরে ফ্রিডলিংস্টেইন বলেন, ‘বর্তমান ও ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সীমার মধ্যকার সময় দ্রুত সংকুচিত হয়ে আসছে, তাই ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির নিচে বা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির খুব কাছাকাছি থাকার সুযোগ রাখতে আমাদের এখনই কাজ করতে হবে।’