তীব্র গতিতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
তীব্র গতিতে উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ুতে হচ্ছে ভারি বৃষ্টি।
এখনো পর্যন্ত চেন্নাইয়ে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
আগেই আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় দেড়টা থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝড়। লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি চারিদিকে। ৪ ঘণ্টা ধরে চলবে এই ঝড়। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকা বাপতলা এবং মছলিপত্তনমের মাঝে শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টি। বাপতলা এলাকায় ২ কোম্পানি এনডিআরএফ এবং মছলিপত্তনমে ২ কোম্পানি এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোট ১৯ কোম্পানি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুইদিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। পানির নিচে চলে গেছে ভারতের চেন্নাই শহর।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের ফলে এক থেকে দেড় মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। এতে প্লাবিত হবে দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের নিচু অঞ্চলগুলো।
এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আটটি জেলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। জেলাগুলো হচ্ছে- তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসিমা ও কাকিনাদা। পুদুচেরির উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি বলেন, ঝড়টিকে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি এড়াতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
রেড্ডি জানিয়েছেন, নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের থাকার জন্য ৩০০টিরও বেশি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনো প্রভাব না পড়লেও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। কিছুটা উত্তাল থাকবে সমুদ্র উপকূল।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে সোমবার সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়ে প্লাবিত হওয়ায় বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।