দ. কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি স্থগিত করলেন কিম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ পিএম
ছবি; সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হওয়া সামরিক চুক্তি পুরোপুরি স্থগিত করেছে উত্তর কোরিয়া। দুই দেশে মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে পাঁচ বছর আগে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং দাবি করে যে, তারা একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। এর পরই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সিউল জানিয়েছে, তারা সীমান্তে নজরদারি ফ্লাইট পুনরায় চালু করবে। দক্ষিণ কোরিয়াও চুক্তিটি আংশিকভাবে স্থগিত করে।পিয়ংইয়ং এখন চুক্তিটি পুরোপুরি স্থগিত করার এবং সীমান্তে শক্তিশালী বাহিনী ও সরঞ্জাম পাঠানোর অঙ্গীকার করছে।
কিম জং উন প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন থেকে আমাদের সেনাবাহিনী ১৯ সেপ্টেম্বরের উত্তর-দক্ষিণ সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ থাকবে না। দেশটি স্থল, সমুদ্র ও আকাশসহ সব ক্ষেত্রে সামরিক সংঘাত প্রতিরোধে নেওয়া সমস্ত ব্যবস্থা প্রত্যাহার করার এবং সীমান্ত অঞ্চলে আরও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী ও নতুন ধরনের সামরিক হার্ডওয়্যার মোতায়েন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মহাকাশে সফলভাবে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার (২২ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা দ্যা ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস টেকনোলজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতেই উচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে উৎক্ষেপণ করা হয় মালিগিয়ং ওয়ান নামের কৃত্রিম নজরদারি উপগ্রহটি, যা সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে বলে দাবি তাদের। আসন্ন দিনে নজরদারির সক্ষমতা আরও বাড়াতে একাধিক স্পাই স্যাটেলাইট পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন স্যাটেলাইট স্থাপন করা গেলে তা সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে কিমকে আগভাগেই সতর্ক করবে। ফলে শত্রুকে মোকাবিলা করায় আরও নির্ভুলভাবে পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন কিম জং উন।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া। একে নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়েছে তারা। তবে ম্যালিগিয়ং সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোন তথ্য দিতে পারেনি কোনো দেশ।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে, উত্তর কোরিয়া সীমান্তে আবার তারা নজরদারি শুরু করবে। এর মাধ্যমে দেশ দুটির মধ্যকার ২০১৮ সালের একটি চুক্তির কিছু অংশ স্থগিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছ।
উৎক্ষেপণের পথে এগিয়ে গেলে সিউল পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের অপারেশন বিভাগের পরিচালক কাং হো-পিল।
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, স্যাটেলাইটটি অপারেশনাল কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তাদের বিশ্বাস, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে।