যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান-ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন। আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২১টি দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল এপেক। গত বুধবার থেকে শুরু হয়ে দুই দিনে সম্মেলনটি শেষ হয়েছে শুক্রবার।
সম্মেলনে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সংস্কারসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন ফোরামের নেতারা। তবে সম্মেলন শেষে ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া নিয়ে দেখা গেছে বিভক্ত বিশ্বের অনৈক্য। যদিও সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় কোনো দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করা হয়নি। গাজা যুদ্ধের বিষয়ে এপেকের নেতৃস্থানীয়দের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোরামটি গাজার চলমান সংকটের বিষয়ে শুধু ‘মতামত বিনিময়’ করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা, কিছু নেতা বিশ্বাস করতে চান না যে এটি অর্থনীতির বাইরেও ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার একটি ফোরাম।
বিবৃতিতে ইউক্রেনে-রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানানো হয়েছে। তবে বলা হয়েছে, এপেকের অধিকাংশ সদস্য দেশ এই আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করেছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিকূল প্রভাব লক্ষ করছি। এই যুদ্ধ ‘বিপুল মানবিক দুর্ভোগের কারণ’ বলে উল্লেখ করেছেন তারা। বলেছেন, ‘যুদ্ধটি বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান ভঙ্গুরতাকে বাড়িয়ে তুলছে।’
সম্মেলন শেষে এক বিবৃতিতে গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে একটি টেকসই মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে এপেকের তিন দেশ- ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। শনিবার রয়টার্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
তিনটি দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় শত্রুতা বন্ধ করতে আমরা অবিলম্বে একটি টেকসই মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা পুনরায় নিশ্চিত করছি, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান শুধু শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্জন করা যেতে পারে। বিবৃতিতে তারা গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের খাবার, পানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা সরবরাহের ওপর জোর দিয়েছে।