Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

মোমবাতি জ্বালিয়ে কাজ করছেন চিকিৎসকরা

প্রাণ বাঁচাতে ফয়েল পেপারে মোড়ানো হচ্ছে শিশুদের

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০৫ পিএম

প্রাণ বাঁচাতে ফয়েল পেপারে মোড়ানো হচ্ছে শিশুদের

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে রয়েছে গাজার সর্ববৃহৎ আল-শিফা হাসপাতাল। নতুন হামলার পর থেকে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য রোগী। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে নবজাতক শিশুরা। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুদের এখন ইনকিউবেটরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। প্রাণ বাঁচাতে তাই বিকল্প পদ্ধতি নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির পাশে রাখা হচ্ছে শিশুদের। 

এ বিষয়ে আল-শিফা হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সেলমেয়া বলেন, ‘শিশুরা এখন উন্মুক্ত, কারণ আমরা তাদের ইনকিউবেটর থেকে বের করেছি। আমরা তাদের ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে রাখছি এবং তাদের পাশে গরম পানি রেখেছি। এতে করে আমরা তাদের গরম রাখতে পারছি।’ সিএনএন।

ইসরাইলের অনবরত আক্রমণে নবজাতকদের অন্য কোনো হাসপাতালে স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি ইসরাইলি কড়া নজরদারি উপেক্ষা করে কোনো অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে ঢুকতে পারছে না। সাহায্য সংস্থার একজন সিইও মেলানি ওয়ার্ড বলেন, ‘নবজাতকদের বাঁচানোর জন্য একমাত্র নিরাপদ বিকল্প হলো আল-শিফা থেকে তাদের আক্রমণ এবং অবরোধ বন্ধ করা, হাসপাতালে জ্বালানি পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া এবং এই শিশুদের বেঁচে থাকা বাবা-মায়েদের তাদের সঙ্গে পুনরায় মিলিত করা এবং নিশ্চিত করা। চলমান বিদ্যুৎ সংকটে আল-শিফা হাসপাতালে মোমবাতির আলোয় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শিফা হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বর্ণনা করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাংবাদিক। তিনি বলেন, ‘ডজন ডজন লাশ এখনো দাফন করা হয়নি। 

অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের সাহায্য করতে পারছে না। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমগুলো কাজ করার মতো বিদ্যুৎ নেই। ডাক্তাররা মোমবাতি জ্বালিয়ে কাজ করছেন। খাবার শেষ হয়ে আসছে, ভেতরে থাকা মানুষগুলো পাইপের পানি পান করতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে গাজার আরও একটি বৃহৎ হাসপাতাল আল-কুদসে অবিরাম ভারী বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট (পিআরসিএস) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি জানায়, ‘হাসপাতালের এলাকায় গোলাগুলি এবং হিংসাত্মক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম