স্ত্রী জর্ডানের নাগরিক, আর স্বামী ফিলিস্তিনি। কিছুদিন আগেই বিয়ে হয়েছে তাদের। তবে গাজায় ইসরাইলের চলমান হামলার জেরে তাদের আলাদা হয়ে যেতে হয়েছে। স্ত্রী রাফাহ সীমান্ত পাড়ি দিতে পারলেও স্বামী অনুমতি পাননি।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো বেসামরিক ব্যক্তিদের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয় মিসর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আলজাজিরার আরবি ভাষার সংস্করণের কর্মীরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা গেছে, রাফাহ সীমান্তে আলাদা হয়ে যাওয়ার সময় এই নবদম্পতি কাঁদতে কাঁদতে একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানাচ্ছেন।
এর আগে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানি স্ত্রীকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিসরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর তার ফিলিস্তিনি স্বামীকে গাজাতেই থেকে যেতে হবে।
সংক্ষিপ্ত এক সাক্ষাৎকারে ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে রাফাহ সীমান্তে গিয়েছিলেন। স্ত্রী যেন নিরাপদে সীমান্ত পার হতে পারেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিনি এই নাগরিক আক্ষেপ করে বলেন, আমার একমাত্র অপরাধ হলো আমি ফিলিস্তিনি।
গাজার দক্ষিণে রাফাহ ক্রসিং অবস্থিত। গাজা ও মিসরের মধ্যকার একমাত্র সীমান্ত পারাপার পয়েন্ট এটি। ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছিল মিসর। গতকাল বুধবার তা খুলে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে চার শতাধিক ব্যক্তি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ত্যাগ করেছেন। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩৩৫ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী রয়েছেন। এছাড়া ৭৬ জন আহত ফিলিস্তিনি রাফাহ ক্রসিং পার হয়েছেন।