প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন না মাইক পেন্স
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৯ পিএম
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। আসছে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী প্রচারও শুরু করেছিলেন পেন্স। তবে সবাইকে হতবাক করে হঠাৎ করেই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন ৬৩ বছর বয়সি মাইক পেন্স। তবে ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ওই হামলার আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের খুবই অনুগত ছিলেন তিনি।
রিপাবলিকান এই শীর্ষ নেতা এক ঘোষণায় বলেন, এটা আমার জন্য উপযুক্ত সময় নয়। স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ অক্টোবর) লাস ভেগাসে রিপাবলিকান ইহুদী জোটের এক অনুষ্ঠানে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মাইক পেন্স।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা সব সময়ই জানি যে, এটা একটা চড়াই-উতরাইয়ের যুদ্ধ। তবে আমার এ নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই। মাইক পেন্সই প্রথম রিপাবলিকান প্রার্থী যিনি নির্বাচনি প্রচারণা স্থগিত করার ঘোষণা দিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট পদে মনোয়নের জন্য রিপাবলিকানদের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন পেন্স। সাবেক এই ভাইস-প্রেসিডেন্টের প্রচারণার কাজেও তাকে ঋণগ্রস্ত হতে হয়েছে।
তিনি তার সমর্থকদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে বলেন, আমি এই প্রচারণা ছেড়ে দিচ্ছি, কিন্তু আমি রক্ষণশীল মূল্যবোধের জন্য আমার লড়াই ছেড়ে দিচ্ছি না।
এর আগে গত জুনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে লড়াইয়ে নেমেছিলেন মাইক পেন্স। সে সময় রিপাবলিকান প্রার্থিতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন তিনি। তবে তিনি দলীয়ভাবে জোরাল সমর্থন পাননি এবং শীর্ষ নেতারাও তার প্রতি সেভাবে সাড়া দেননি। আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রথম পছন্দ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আইনি ঝামেলা দিন দিন যত বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তাও বাড়তে শুরু করেছে। ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে তিনি এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। অন্য সব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চেয়ে তিনি অনেক এগিয়ে। বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হবার পর যেন তার অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।