ইমরান খানের নিরাপত্তা যদি নিশ্চিত না হয় তাহলে নির্বাচন কীভাবে সুরক্ষিত হবে?
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৬ পিএম
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দণ্ডিত হওয়ায় নির্বাচনে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। যদি আদালত থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম না হন তবে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ও পিটিআই নেতা আসাদ উমরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অবমাননার অভিযোগের শুনানি হয় মঙ্গলবার।
এতে অন্য দুই নেতা উপস্থিত হলেও ইমরান খানকে উপস্থিত করেনি সরকার। এক্ষেত্রে অজুহাত হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন প্রশ্ন করেছে যদি একজন ইমরান খানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে এতবড় নির্বাচন কিভাবে করবেন?
এ প্রশ্ন রেখে কেন শুনানিতে ইমরান খানকে হাজির করা যায় না তার ব্যাখ্যা দিতে ১৩ নভেম্বর কমিশনে স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের চার সদস্যের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সিন্ধুর নিসার আহমেদ দুররানি। বেঞ্চের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন ফাওয়াদ চৌধুরী ও আসাদ উমর। কিন্তু আদিয়ালা জেলে বন্দি থাকার কারণে ইমরান খানকে হাজির করা যায়নি। একে নির্বাচন কমিশনের প্রতি বাস্তবিক অবমাননা বলে অভিযোগ করেন পিটিআই আইনজীবী শোয়াইব শাহিন।
বিচারিক বেঞ্চে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন করেন অ্যাসিসট্যান্ট ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ। তাতে ব্যাখ্যা দেওয়া হয় রাওয়ালপিন্ডি অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। সেখান দিয়ে ইমরান খানকে বেঞ্চের সামনে আনা বড় রকম ঝুঁকির বিষয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয় আদিয়ালা জেলে বন্দি ইমরান খান। এর ভিতরেই শুনানি হওয়া উচিত।
এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে নির্বাচন কমিশনের এই বেঞ্চ।
তারা জানতে চান, যদি একজন ব্যক্তির নিরাপত্তায় নিশ্চয়তা দিতে না পারে মন্ত্রণালয়, তাহলে কিভাবে আসন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করবে? কিভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিতে পারে মন্ত্রণালয়? এ জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবকে বেঞ্চে উপস্থিত হতে হবে।
সূত্র: ডন