প্রধানমন্ত্রী গদিতে কি আবার বসবেন নওয়াজ?
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪০ পিএম
টানা চার বছর বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর পাকিস্তানে ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। শনিবার দুপুরে তাকে বহনকারী প্লেনটি ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ডন জানিয়েছে, নওয়াজকে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন তার আইনি সহায়তাকারী দলের সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী সিনেটর আজম তাতার এবং তার রাজনৈতিক দলের নেতারা।
পাকিস্তানের আগামী সাধারণ নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেবেন নওয়াজ শরিফ।পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে নওয়াজই হবেন দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী- এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে তার দল পিএলএম-এন। তবে তার আগে কিছু বিষয় তাকে সামাল দিতে হবে।
বোঝাপড়ায় আসতে হবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে। কারণ পাকিস্তানের নীতি-নির্ধারণীতে দেশটির সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনেক বেশি। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের জন্যও এই নেতাকেই দায়ী করে থাকেন অনেকে। তা নিয়ে একটি সমাধানে আসতে হবে।
নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক ইতিহাসে পাকিস্তানের ক্ষমতাশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময়ই তার ছিল সাপে-নেউলে সম্পর্ক। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল সেনাবাহিনী। এমনকি পাকিস্তান ছাড়ার আগেও দুর্নীতির অভিযোগে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
গত বছর পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত অনাস্থা ভোটের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। এর পর থেকেই বাড়ছিল নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক তৎপরতা। সর্বশেষ পাকিস্তানের শাসনক্ষমতায়ও ছিল তার দল পিএমএল-এন।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তার ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ। তবে নওয়াজের বিরুদ্ধের সব মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। যদিও গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায়ও নেই তিনি। কারণ আগামী সপ্তাহের শুনানি পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ রয়েছে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে নওয়াজ শরিফকে ২০১৯ সালের নভেম্বরে কারাগার থেকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি তখন লন্ডনে চলে যান। তবে পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। নওয়াজের চিরশত্রুই তাকে অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হয়তো নওয়াজেই শেষ ভরসা করছে সেনাবাহিনী। এমনকি আবারও তিনি বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী গদিতে।