পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার নিম্নমুখী
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার বেশ নিম্নমুখী। দেশটির জিডিপির ২ শতাংশেরও কম ব্যয় করে শিক্ষাখাতে। চলতি বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব যখন সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করছে, তখন অসন্তোষজনক সাক্ষরতার পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের গর্ব করার মতো কিছুই নেই।
পাকিস্তানের শিক্ষা সচিব ওয়াসিম আজমল চৌধুরীর মতে, ২০২২-২৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় প্রতিফলিত ৬২ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় প্রকৃত চিত্র ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উল্লেখিত হার সর্বশেষ আদমশুমারির অনুপস্থিতিতে অনুমানকৃত পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে। তবে, তিনি বলেন, সর্বশেষ জাতীয় আদমশুমারি অনুসারে প্রকৃত সাক্ষরতার হার ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ গণনা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই সংখ্যাটি আগের প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে বেশি ছিল, তাই কেউ বলতে পারে না যে দেশের সাক্ষরতার হার কমেছে।
তাই আগের পরিসংখ্যানের তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নাও হতে পারে।
শিক্ষা সচিব ওয়াসিম আজমল জানান, এর মধ্যে পাঞ্জাব ৬৬ দশমিক ১ থেকে ৬৬ দশমিক ৩ শতাংশ; সিন্ধুতে ৬১ দশমিক ১ থেকে ৬১ দশমিক ৮; খাইবার পাখতুনখোয়া ৫২ দশমিক ৪ থেকে ৫৫ দশমিক ১ এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে সাক্ষরতার হার ৫৩ দশমিক ৯ থেকে ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে এমন সব তথ্য উপাত্ত সংযোজন করা হয়েছে যাতে প্রমাণিত হয় পাকিস্তানের শিক্ষার ওপর সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষাখাতে সর্বনিম্ন ব্যায়ের ফলে দেশটিতে শিক্ষার হারও দিন দিন কমে যাচ্ছে। দেশটি তার জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২২ অর্থনৈতিক বছরে কেন্দ্র এবং প্রাদেশিক সরকার শিক্ষা খাতে জিডিপির মাত্র ১.৭ শতাংশ ব্যায় করেছে।
সমীক্ষায় আরো বলা হয় পাকিস্তানে প্রায় ৩২ শতাংশ শিশু স্কুলে যায়না। অধিকাংশ ছেলে মেয়েই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত৷
বেলুচিস্তান প্রদেশের ৪৭ শতাংশ শিশু, সিন্ধু প্রদেশে ৪৪ শতাংশ,পাঞ্জাব প্রদেশের ৩২ শতাংশ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রায় ২৪ শতাংশ শিশু শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত বলে এ সমীক্ষায় বলা হয়।