বিভক্ত সম্মেলনে কিভাবে ঐকমত্যে ফিরবে বিশ্ব?
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১১ পিএম
ভারতে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। বৃহৎ অর্থনীতি ও বিশ্বের শক্তিশালী নেতাদের মিলনমেলা এখন নয়াদিল্লি। যদিও প্রথমবারের মতো জি-২০’র বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
অনুপস্থিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অর্থাৎ বিশ্বের বৃহত্তম শক্তিগুলোর একটি বড় অংশ সম্মেলনে যোগ দেয়নি। শুরু থেকেই বিভক্ত এই সম্মেলনে বিশ্বনেতারা কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নে আদৌ মতৈক্যে পৌঁছাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে আশার কথা হলো, অনেক বাগবিতণ্ডা ও বহু আলোচনার পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বর্ণনা দিতে জি-২০ সদস্য দেশগুলো ‘একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে’। যৌথ ঘোষণার একটি পুনঃনির্ধারিত খসড়া প্রচার করেছে। সম্মেলন শুরুর দিকেই এই ঘোষণাটি আসে। ইন্ডিয়া টুডে, এএফপি, আলজাজিরা।
জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মতো বড় বড় ইস্যুগুলোতে গভীরভাবে বিভক্ত ছিল জি-২০ ব্লক। যুদ্ধে ইউক্রেনের সমর্থনে আছে পশ্চিমা দেশ। অন্যদিকে রাশিয়ার পক্ষে চীন।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশা করছেন শি ও পুতিনের অনুপস্থিতিতেও মার্কিন প্রভাব বিশ্বের কাছে তুলে ধরবেন। আর প্রমাণ করবেন আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানের একটি মূল ফোরাম এই জোট। যদিও বৈঠকে একটি চূড়ান্ত বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি সদস্য দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘আমরা মনে করি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বৈশ্বিক সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে এই সম্মেলন।’ তবে একটি চূড়ান্ত বিবৃতিতে একমত হতে না পারাটাকে শীর্ষ সম্মেলনের একটি ব্যর্থতা হিসাবে দেখছেন তিনি।
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, বেইজিংয়ের ‘জবরদস্তিমূলক’ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের একটি ভালো বিকল্প হিসাবে উদীয়মান দেশগুলোর জন্য বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণ প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার বাড়ানোর পরিকল্পনার ওপর জোর দেওয়া হবে। কিন্তু সম্মেলনে শি আর পুতিনের অনুপস্থিতির পর জি-২০ জোট বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সহযোগিতার শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসাবে টিকে থাকতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।