সাইফার নয়, সেটি ছিল মন্ত্রিপরিষদের ডকুমেন্ট: ইমরান খান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৩:০২ পিএম
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় পাঞ্জাবের কুখ্যাত ‘অ্যাটক’ কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে। গত ৫ আগস্ট থেকে তিনি ওই জেলে অবস্থান করছেন।
গত বছর তিনি জনসমাবেশে যে গোপনীয় একটি ডকুমেন্ট (সাইফার) প্রদর্শন করেছিলেন, সে বিষয়ে ইমরান খান বলেছেন- কোনো সাইফার (গোপন বার্তার সাংকেতিক রূপ) প্রদর্শন করেননি তিনি। তা ছাড়া সেটা কোথায় রেখেছেন তাও তিনি ভুলে গেছেন। ইমরান বলেছেন, ওই জনসমাবেশে আমি যে কাগজটি প্রদর্শন করেছিলাম, তা ছিল মন্ত্রিপরিষদের কাগজ। কোনো সাইফার ছিল না।
পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় খুবই শান্ত ছিলেন ইমরান খান। তিনি তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করেন। সাইবার ক্রাইম সার্কেলের এফআইএর ডেপুটি ডিরেক্টর এই টিমের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভয়ানক ঝুঁকিতে ইমরান খানের জীবন: বুশরা বিবি
সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে বলা হয়েছে ইমরান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখার অধিকার তার ছিল। কেন তিনি তা জনসমাবেশে প্রদর্শন করেছেন তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
সূত্র বলেছে, সম্ভবত এটা ছিল সাইফার বিষয়ক ইস্যুতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের শেষ পর্যায়। এর পরই তদন্তকারীরা একটি সিদ্ধান্তে যাবেন। এ নিয়ে যে মামলা আছে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন তদন্ত রিপোর্ট আগামী সপ্তাহের মধ্যে আসতে পারে। তা জমা দেওয়া হতে পারে আদালতে।
ওদিকে তার জামিনের ৯ম আবেদন ইসলামাবাদ হাইকোর্টে প্রত্যাখ্যান হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছেন শনিবার। ৯ই মে সহিংসতা, জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে আক্রমণ, ভুয়া অ্যাকাউন্টের মতো বিভিন্ন মামলায় তার জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। আইনজীবী সালমান সফদারের মাধ্যমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ৯ম জামিন আবেদন করেন।
ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রী, যাকে ‘কুখ্যাত’ এ কারাগারে রাখা হয়েছে।
এর আগে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯০৫-১৯০৬ সালে ৬৭ একর জমির ওপর নির্মিত অ্যাটক কারাগার। ব্রিটিশ শাসকরা সেই সময় বিদ্রোহীদের এখানে আটকে রাখত। তবে এখন পাকিস্তানে এটিকে নিরাপত্তার কারাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কারাগারে দেশটির বিপজ্জনক বন্দিদের রাখা হয়। এখানে থাকা বন্দিদের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়া জঙ্গিও আছে।