তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ইমরান খানের আপিলের শুনানি আরও একবার পেছাল। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খানের আপিলের শুনানির কথা ছিল; কিন্তু মামলার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) আইনজীবী অসুস্থ হওয়ায় শুনানি তিন দিন পেছানো হয়। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তোশাখানা মামলায় ৫ আগস্ট পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির হয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। পরে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য বলেও ঘোষণা দেয় ইসিপি। 

সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সুপ্রিমকোর্টের কাছে অতিরিক্ত ও দায়রা জজ (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ারের রায়কে বাতিল ঘোষণার আবেদন জানায় দলটি।

আজ সেই আপিলের শুনানির তারিখ নির্ধারিত ছিল; কিন্তু ইসিপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমজাদ পারভেজ অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত থাকতে না পারায় শুনানি হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসিপির পক্ষের কনিষ্ঠ আইনজীবীরা। এ অবস্থায় আদালত এ মামলার শুনানি ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন এবং সেদিনই আপিলের শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
 
এদিকে তোশাখানা মামলার রায় ঘোষণার আধাঘণ্টার মধ্যেই ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয় তার লাহোরের জামান পার্কের বাড়ি থেকে। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় কারাগারে। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। 

ইমরান খানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার আবেদন জানিয়েছে তার দল পিটিআই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনায় তাকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। 

এছাড়া ইমরান খানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীদের নিয়মিত সাক্ষাতের সুযোগ দিতে আলাদা আরেকটি আবেদন করা হয়েছে।