Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

দেড় লাখেরও বেশি শৌচাগার বানিয়েছেন ভারতের ‘টয়লেট ম্যান’

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩২ পিএম

দেড় লাখেরও বেশি শৌচাগার বানিয়েছেন ভারতের ‘টয়লেট ম্যান’

ভারতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের এক বিপ্লবী সমাজকর্মী বিন্দেশ্বর পাঠক। নিরাপদে শৌচাগার ব্যবহার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সোচ্চার সেই বিন্দেশ্বর পাঠক মঙ্গলবার ৮০ বছর বয়সে মারা গেছেন। 

ভারতের রাস্তাঘাট, রেলস্টেশন বা বাস টার্মিনালে ‘সুলভ শৌচালয়’ নামে যে পাবলিক টয়লেট দেখা যায় তা নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৭০ দশকে এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা সেকেলে হলেও বিন্দেশ্বর তখনই এ বিষয়ে মানুষের মাঝে জাগরণ শুরু করেন। বিবিসি।

মি. পাঠকের সংস্থা সুলভ ইন্টারন্যাশনাল দাবি করে যে, সারা দেশের শহরাঞ্চলেই তাদের ৯,০০০ ‘পে অ্যান্ড ইউজ’ পাবলিক টয়লেট আছে এবং প্রতিদিন দুই কোটি মানুষ এই টয়লেট ব্যবহার করে। গ্রামীণ এলাকায় তারা ৫০ বছরে দেড় লাখেরও বেশি টয়লেট বানিয়েছে। 

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলেও কম খরচে টয়লেট বসিয়েছিল সুলভ ইন্টারন্যাশনাল। ওই টয়লেটগুলো দেখে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ২০১১ সালে কাবুলের নানা জায়গায় বায়োগ্যাসচালিত টয়েলেট তৈরির কাজ দেয় সুলভ ইন্টারন্যশনালকে।

তবে সুলভের তৈরি সব পাবলিক টয়লেট কতটা পরিচ্ছন্ন ও সেগুলো কতটা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে তেমনই মি. পাঠক কথিত ‘পাবলিক টয়লেট বিপ্লব’ শুরু করার প্রায় ৫০ বছর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার স্বপ্নের ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ শুরু করার নয় বছর পরেও ভারতে প্রকাশ্যে টয়লেট করা বন্ধ হয়নি। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ জুলাইয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন ভারতের গ্রামীণ এলাকার ১৭ শতাংশ মানুষ এখনো প্রকাশ্যে টয়লেট করেন। তবে ২০১৯ সালে ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল যে, দেশে কেউ আর প্রকাশ্যে টয়লেট করেন না। 

রামেসিস আরপিএল পারফেক্ট পজ সংস্থার কার্যকরী পরিচালক অরিজিৎ ব্যানার্জি বলেছিলেন, ‘টয়লেট বানিয়ে দিলেই তো হবে না, সেটা যাতে ব্যবহার করা হয় নিয়মিত, সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করা হয়, সেটাও তো দেখার দরকার ছিল। সেই কাজটা যেমন সরকারের দিক থেকে করা হয়নি সঠিকভাবে, আবার ব্যবহারকারীদের দিক থেকেও অনীহা রয়েছে। আবার গ্রামীণ এলাকায় যেসব টয়লেট বানানো হয়েছে, সেগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকেও খেয়াল রাখা হয়নি।’
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম