৩৭০ ধারা বাতিলের পর বদলে গেছে জম্মু-কাশ্মীর
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১১ পিএম
প্রতীকী ছবি
চার বছর আগে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতের রাজ্যসভায় জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল-২০১৯ উত্থাপন করেন। এরপর জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর বদলে গেছে জম্মু-কাশ্মীর, প্রত্যন্ত গ্রামেও লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। গত চার বছরে জম্মু-কাশ্মিরের রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামো খাতে বৈপ্লবিক উন্নতি হয়েছে।
এ অঞ্চলের অনেক এলাকায় বছরের পর বছর নির্মাণাধীন ছিল অনেক রাস্তা। তবে গত চার বছরে অসংখ্য রাস্তা যাতায়াতযোগ্য হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৩টি প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার কোটি রুপি ব্যয় করা হয়েছে। যা রাস্তা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন, কৃষি ও উন্নয়নখাতে ব্যয় করা হয়েছে।
৩৭০ ধারা বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা নির্মাণের গতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের আগে প্রতিদিন সাড়ে ছয় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হতো। তবে ধারা বাতিলের পর প্রতিদিন নির্মাণ করা হয় ২০ দশমিক ৬ কিলোমিটার। যার ফলে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মিরের রাস্তার দৈর্ঘ্য হয়েছে ৪৬ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি।
২০১৯ সালের আগে বিগত সাত দশকেও যেসব গ্রামাঞ্চলে রাস্তা ছিল না। সেই এলাকায় রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে গত চার বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে। শ্রীনগর থেকে জম্মু যেতে আগে প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন মাত্র ৬-৭ ঘন্টায়ই এই দূরত্ব পাড়ি দেওয়া যায়।