ভোটের ফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নিজেকে আবারও নির্দোষ দাবি করেছেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির একটি আদালতের শুনানিতে সশরীরে হাজির হয়ে তিনি এ দাবি করেন।
২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। ওই ভোটকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি নজিরবিহীন হামলা হয় ক্যাপিটল হিলে, যেখানে দেশটির আইনসভা বা কংগ্রেস ভবন অবস্থিত।
সেই ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাপিটল হিলে হামলার অভিযোগের সংক্ষিপ্ত শুনানির সময় ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এ সময় নরম স্বরে তিনি তার নাম, বয়স এবং তিনি কোনো দ্রব্যের প্রভাবাধীনে নাই বলে জানান।
শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এই মামলা আমার ওপর রাজনৈতিক এক প্রতিপক্ষের নিপীড়ন।
এ নিয়ে চার মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ফৌজদারি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিলেন মার্কিন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েও কেন ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়ছে?
আদালতের বিচারক মজিলা উপাধ্যায় জানান, মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮ আগস্ট স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় হবে।
মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চলবে ডিস্ট্রিক্ট জজ তানিয়া চুটকানের আদালতে।
পরের শুনানিতে মামলার বিচার শুরুর তারিখ জানানো হতে পারে।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলাকালে সেখানে হামলা চালিয়েছিল ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা। সেই ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা প্রায় ১০০০ বিবাদীও এদিন একই আদালত ভবনে হাজিরা দেন।
ওই নির্বাচনে জো বাইডেন জয়ী হন। সেই বিজয় অনুমোদনের জন্য মার্কিন আইনপ্রণেতারা যখন পার্লামেন্ট হাউজ ক্যাপিটল হিলে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বসেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েকশ উগ্র সমর্থক সেখানে গিয়ে ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশের বাধা ভেঙে ভবনে ঢুকে পড়ে, ভাঙচুর চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে এই ঘটনা বিরল।
ওই ঘটনায় স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের এক তদন্তে সাবেক প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলো হলো-রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা, দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা ও নাগরিক অধিকারের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র।