কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগিয়ারের আকস্মিক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। ছেলের কপালে লেগেছে বাবার তিলক।
কানাডার ইতিহাসে এটি দ্বিতীয়বারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ। ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ট্রুডো ও তার মা মার্গারেট ট্রুডোর গল্পও প্রায় একই রকম। ১৯৭৭ সালে আলাদা হয়ে যান তারা। আর বিবাহ বিচ্ছেদ ১৯৮৪ সালে।
পিয়েরে ট্রুডো ছিলেন কানাডার ১৫তম প্রধানমন্ত্রী। দেশের লিবারেল পার্টির নেতা। সেসময়ের একজন রাজনৈতিক তারকা।
পিয়েরে ১৯৭১ সালে মার্গারেটকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। মার্গারেটের বয়স ছিল সেসময় ২২। আর পিয়েরের বয়স ছিল ৫১। অর্থাৎ দুজনের বয়সের তফাৎ ছিল ২৯ বছর। অনেকে মনে করেন এই অসম বয়সই দুজনকে বিচ্ছেদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। ঘোষণার দিন প্রধানমন্ত্রীর অফিসের লেটারহেড নোটিশে লেখা ছিল-‘পিয়েরে ও মার্গারেট ট্রুডো ঘোষণা করছেন মার্গারেটের ইচ্ছায় তারা আলাদা থাকতে শুরু করবেন।’
মার্গারেটের মাত্র ১৮ বছর বয়সে পিয়েরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। পিয়েরে বলেছিলেন, ‘আমি তার চোখে অসাধারণ সৌন্দর্য খুঁজে পেয়েছি।’ বিয়ে করেছিলেন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উত্তর ভ্যাঙ্কুভার শহরে। বিবাহ পরবর্তী ছুটির দিন কাটিয়েছিলেন স্কিইং উইসলারে। হানিমুন হয়েছিল কানাডিয়ান কোস্ট গার্ড আইসব্রেকারে। হানিমুন থেকে ফিরে এসেই তাদেরকে জনমত আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তৈরি হয়েছিল অনেক আলোচনা-সমালোচনার।