জাতীয় তহবিল ছাড়া একদিনও চলতে পারে না পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০১:০০ পিএম
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স
পাকিস্তানের সরকারি তথা রাষ্ট্রীয় পতাকাধারী এয়ারলাইন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জাতীয় তহবিল থেকে অর্থের বরাদ্দ ছাড়া একদিনও চলতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে পাকিস্তানের অর্থনীতি, তার ওপর সরকারি বিমান সংস্থার এই দুর্দশা।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের পেছনে সরকারের মোট পুঞ্জীভূত ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৬০০ বিলিয়ন রুপির বেশি। এমতাবস্থায় পাকিস্তান সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে চাইছে, যাতে ছায়া ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট পুনর্গঠন পরিকল্পনা তৈরি করা যায়।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড আলোচনায় একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘পিআইএ’র আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, এটি সৌদি আরবকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নেভিগেশন ফি দিতে পারে না। তাই এক পর্যায়ে তারা পাকিস্তানের জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটিকে চলতি বছরের ৩০ জুনের পর কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা দেয়।’
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাবনার বিষয় হলো- লোকসানে থাকা পিআইএ আর কতদিন এভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। তাদের মতে, এখন প্রথম ও সর্বাগ্রে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে তা বন্ধ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনা তৈরি করা এবং মূল ফাংশনগুলোকে ধীরে ধীরে বেসরকারিকরণ করা দরকার।
সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, পিআইএ এখন একটি বিমান ইজারা নিয়ে বোয়িং-৭৭৭ এর বহরে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে, এতে বহরে বিমানের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১। কিন্তু সংস্থাটির সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, একটি সুনির্দিষ্ট পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার পর পিআইএ-কে তিন থেকে চারটি কোম্পানিতে বিভক্ত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় এয়ারলাইন্সকে পুনরুদ্ধার করতে সম্প্রতি পিআইএ-এর ম্যানেজমেন্ট রাজধানী ইসলামাবাদে অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে। ওই সময় রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।