‘কৃষ্ণসাগরে জাহাজে হামলা করে ইউক্রেনকে দোষ দিতে পারে রাশিয়া’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩৭ পিএম
ইতোমধ্যেই কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ইউক্রেনীয় বন্দরেও দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে দেশটি। এবার হামলা হতে পারে কৃষ্ণসাগরে চলাচলরত বেসামরিক জাহাজেও।
এমন সতর্কতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের শস্য স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করে চালানো রুশ সামরিক বাহিনীর হামলা কৃষ্ণসাগরে চলাচলরত বেসামরিক জাহাজ পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে বলে বুধবার সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাডাম হজ বলেছেন, কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে যাওয়ার পথে রাশিয়া সামুদ্রিক মাইন স্থাপন করেছে এবং এ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণসাগরে বেসামরিক জাহাজে হামলার ন্যায্যতা প্রমাণ করা এবং এ হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করতে এটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে অগ্রসর হওয়া সকল জাহাজকে সামরিক পণ্যবাহী জাহাজ বলে বিবেচনা করা হবে বলে রাশিয়া ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে এবং মার্কিন তথ্যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে- ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোর দিকে যাওয়ার পথে অতিরিক্ত সামুদ্রিক মাইন স্থাপন করেছে রাশিয়া।
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষ্ণসাগরে এই সমন্বিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া গত ১৮ ও ১৯ জুলাই ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে ওডেসাতে হামলা চালিয়েছে। এর ফলে বন্দরের কৃষি অবকাঠামো এবং ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস হয়েছে।’
মূলত নিজেদের শর্ত পূরণ না হওয়ায় কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে এসেছে রাশিয়া। এক বছর আগে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তির মাধ্যমে কৃষ্ণসাগর দিয়ে নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারত ইউক্রেনের খাদ্যশস্য।
তবে গত ১৭ জুলাই চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর রাশিয়া সেটির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানায়।
এদিকে কৃষ্ণসাগরে জাহাজ ঢুকলেই তাতে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। বুধবার এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইঙ্গিত দিয়েছে, রাশিয়ার সম্মতি ছাড়া ইউক্রেনের শস্য নিতে, কৃষ্ণসাগরে যদি কোনো জাহাজ প্রবেশ করে সেটির ওপর হামলা চালানো হবে। কারণ এসব জাহাজকে অস্ত্রবাহী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।