বিদ্রোহের পর প্রথমবার জনসম্মুখে ওয়াগনারপ্রধান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ১২:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি
ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আড়ালে ছিলেন। তবে অবশেষে প্রায় এক মাস পর জনসম্মুখে এসেছেন তিনি। এর আগে ২৩ জুন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল ওয়াগনার বাহিনী।
বুধবার ওয়াগনার সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে প্রিগোজিনের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এতে নিজ সেনাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কথা বলতে শোনা যায় প্রিগোজিনকে। এ সময় আবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমালোচনা করতেও শোনা যায় তাকে। একটা সময় তিনি জানান, তার সেনারা আপাতত আর ইউক্রেনে যুদ্ধ করবে না।
ওয়াগনার সেনাদের প্রশংসা করে প্রিগোজিন বলেন, বেলারুশে স্বাগতম। আমরা সম্মানের সঙ্গে লড়াই করেছি। আমরা রাশিয়ার জন্য অনেক কিছু করেছি।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর চলমান সামরিক অভিযানের বর্তমান অবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সম্মুখভাগে যা হচ্ছে তা অসম্মান; যেটিতে আমাদের যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজেদের পূর্ণ প্রমাণের জন্য আমরা সঠিক মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করব।
ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, প্রিগোজিন বেলারুশে ওয়াগনারের কয়েক হাজার সেনার সামনে কথা বলেছেন। যদিও বিষয়টি পরিষ্কার নয়। কারণ প্রিগোজিনের এ ভিডিওটি সন্ধ্যার দিকে ধারণ করা হয়েছে। ফলে তার আশপাশে কি রয়েছে সেটি স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছিল না।
ওয়াগনার সেনারা কয়েকদিন বেলারুশে থাকবেন বলে জানিয়ে প্রিগোজিন বলেছেন, আমরা কয়েকদিন থাকব। বেলারুশিয়ানরা আমাদের ভাই হিসেবে আলিঙ্গন করেছে।
প্রিগোজিন জানান, তার সেনারা আফ্রিকার দেশে অভিযান অব্যাহত রাখবে।
এই ওয়ারলর্ড সঙ্গে এও জানিয়েছেন, ওয়াগনার সেনারা আবারও ইউক্রেন যুদ্ধে ফিরবে; যখন তার সেনাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হবে না। প্রিগোজিন বলেছেন, ‘সম্ভবত আমরা বিশেষ সামরিক অভিযানে ফিরে যাব, যখন আমরা নিশ্চিত হব আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হবে না।
এদিকে বেলারুশের সরকারবিরোধী সংস্থা বেলারুশিয়ান হাজুন প্রজেক্ট জানিয়েছে, বর্তমানে দেশটিতে দুই থেকে আড়াই হাজার ওয়াগনার সেনা অবস্থান করছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, প্রিগোজিন মঙ্গলবার বিমানে করে বেলারুশে আসেন এবং ওই দিন আবার রাশিয়ায় চলে যান।
ওয়াগনার সেনাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে আসিপোভিচি ক্যাম্পে। এখানে সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার সেনা অবস্থানের মতো জায়গা রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান