ইরানে ফের সক্রিয় নৈতিকতা পুলিশ
হিজাব আইন না মানার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে উত্তাল ছিল ইরান। তবে আবারও টহল শুরু করেছে দেশটির সেই নৈতিকতা পুলিশ। মাহসা আমিনি নামে ওই কুর্দি নারীর মৃত্যুর ১০ মাস পর ফের রাস্তায় নেমেছে ইরানের মরাল পুলিশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইরান সরকারের একজন মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, ইরানের শরিয়াহ আইন অনুযায়ী— দেশটির নারীরা ঘর থেকে বের হলে লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরার পাশাপাশি চুল ঢেকে রাখতে হবে। এই কাজটি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণে রয়েছে নৈতিকতা পুলিশ। পোশাক বিধি মেনে চলার ওপর কঠোর অবস্থানে শিয়াপন্থি এ মুসলিম দেশটি।
ইরানি পুলিশের মুখপাত্র সাইদ মনতাজেরোলমাহদি বলেছেন, যারা নিয়ম মেনে চলছে না, প্রথমে তাদের সতর্ক করছেন কর্মকর্তারা। নির্দেশ অমান্য করলে পরবর্তী সময়ে আইনিব্যবস্থা নিতে পারে তারা।
উল্লেখ্য, ইরানের কঠোর পোশাকবিধি অমান্য করায় গ্রেফতার করা হয় মাহসা আমিনিকে। গ্রেফতারের পর ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। দেশটির পোশাকবিধির বিরোধিতা ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের জ্বালানো আগুনে অনেক নারী তাদের হিজাব পোরান, যা শাসকদের প্রতি প্রকাশ্য অবাধ্যতার সুনির্দিষ্ট চিত্র হাজির করে।
অন্যদিকে ইরানজুড়ে নজিরবিহীন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশি হামলায় প্রায় ৬০০ জন মারা গেছেন। সহিংসতার অভিযোগে নারীসহ বেশ কয়েকজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। এর তীব্র সমালোচনা করেছে পশ্চিমাদের পাশাপাশি মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।