ইউক্রেনকে যে কারণে ‘বিতর্কিত’ ক্লাস্টার বোমা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ১০:০৬ পিএম
ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা (গুচ্ছ বোমা) পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্লাস্টার বোমার বিভিন্ন ঝুঁকি থাকায় বিতর্কিত হওয়া সত্ত্বেও শুক্রবার এই যুদ্ধাস্ত্রটি পাঠানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনের গোলাবারুদ ফুরিয়ে আসায় পরিস্থিতি বিবেচনায়’ তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাইডেনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের নেতারা। তবে সিদ্ধান্তটি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ডেমোক্রেট রাজনীতিকের সমালোচনার মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তনভ ইউক্রেনকে গুচ্ছ বোমা দেওয়ার মার্কিন এ পদক্ষেপকে ওয়াশিংটনের ‘নিষ্ঠুরতা’ অ্যাখ্যায়িত করেছেন।
গত মঙ্গলবার সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছিলেন, এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে ক্লাস্টার ও ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহারের অভিযোগ ছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। সেসময় অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে একে সম্ভাব্য ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন হোয়াইট হাউজের তৎকালীন প্রেস সেক্রেটারি।
বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউজে ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই সংঘাত চলাকালে আমরা ইউক্রেনকে কোনোভাবেই অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারি না।’ আরও বলেন, ‘ক্লাস্টার বোমায় অবিস্ফোরিত বোমা থেকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় এতদিন এই বোমার ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনের গোলাবারুদ ফুরিয়ে আসায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া ব্যবহৃত ক্লাস্টার বোমার তুলনায় ইউক্রেনে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের বোমা তার চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। সময়মতো বিস্ফোরিত হয় না, যুক্তরাষ্ট্রের এমন বোমার পরিমাণ ২ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে। অন্যদিকে রাশিয়ার ক্লাস্টার বোমায় যার পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘সময়মতো’ ৮০ কোটি ডলারের অতিপ্রয়োজনীয় সামরিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘এই সহায়তা ইউক্রেনকে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। একই সঙ্গে এটি হবে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জয়।’