আধুনিক দাসত্বের শিকার বিশ্বের ৫ কোটি মানুষ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম
দাসত্বের যুগ শেষ। পুথি-পুস্তকে বড় বড় হরফের কারিশমায় কথাটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও বাস্তবতা একেবারেই উলটো। বিশ্বে এখনো বেশ দাপটের সঙ্গে চলছে দাসত্ব। শুধু বলার ঢংয়ে খানিকা রং বদলেছে মাত্র! প্রতি বছরের মতো এবারও সেই হুঁশিয়ারিই দিল অস্ট্রেলিয়া ভিত্তি মানবাধিকার সংস্থা ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন।
বুধবার প্রকাশিত সংস্থাটির বৈশ্বিক ‘দাসত্ব সূচক ২০২৩-এ (গ্লোবাল স্ল্যাভারি ইনডেক্স) বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে আধুনিক দাসত্বের শৃঙ্খলে আটকা পড়া মানুষের সংখ্যা এখন পাঁচ কোটি। এ হার সবচেয়ে বেশি উত্তর কোরিয়া ও ইরিত্রিয়ায়।
সংস্থাটি বলছে, পাঁচ বছর আগের তুলনায় এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড মহামারী এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে। কারণ, মহামারীতে অনেক শ্রমিকের পরিস্থিতি ও ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সশস্ত্র সংঘাতে চাকরির বাজার, শিক্ষা, হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা এবং জোরপূর্বক ও অনিরাপদে দেশান্তর বেড়েছে নজিরবিহীনভাবে।
এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নারী ও শিশুরা। বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার প্রতি পাঁচজনের একজনই শিশু। এর মধ্যে অর্ধেক বাণিজ্যিকভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার।
এতে বলা হয়, অভিবাসী শ্রমিকেরা অ-অভিবাসী প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের তুলনায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে তিন গুণ বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে-২০১৬ সালের তুলনায় আধুনিক দাসত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা এক কোটি আরো বেড়েছে।
আধুনিক দাসত্ব কি?
প্রতিবেদনে আধুনিক দাসত্বের একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আধুনিক দাসত্বের মধ্যে রয়েছে, জোরপূর্বক শ্রম, ঋণ, জোরপূর্বক বিবাহ, দাসত্ব এবং দাসত্ব এবং মানব পাচারের মতো কয়েকটি প্রথা।
আরও বলা হয়, আধুনিক দাসত্ব সরল দৃষ্টিতে লুকিয়ে আছে। এটি বিশ্বের প্রতিটি কোণে জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। প্রতিদিন, মানুষ প্রতারিত, জোরপূর্বক বা শোষণমূলক পরিস্থিতিতে পড়তে বাধ্য হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধুনিক দাসত্বের মধ্যে ২ কোটি ৬০ লাখ বাধ্যতামূলক শ্রমে যুক্ত ও জোরপূর্বক বিবাহের শিকার ২২ মিলিয়ন, বা বিশ্বের প্রতি ১৫০ জনের মধ্যে প্রায় একজন।