Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

সুদানের খার্তুম এখন ‘শয়তানের শহর’ 

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৩, ০৮:২৩ পিএম

সুদানের খার্তুম এখন ‘শয়তানের শহর’ 

সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে সুদানের দুই জেনারেল। চুক্তি মোতাবেক যুদ্ধবিরতি শুরু হবে ২২ মে সন্ধ্যা থেকে। 

সৌদি আরবের জেদ্দায় শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়। উভয়পক্ষ সম্মত হলে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। 

এর আগেও বারবার যুদ্ধবিরতি দিয়ে বারবার তা লঙ্ঘন করা হয়েছে, তাই এবারের যুদ্ধবিরতি যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব এবং আন্তর্জাতিক দলগুলো দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।  কিন্তু রোববার সকালেও দুই বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষে কেঁপে ওঠে খার্তুম। যুদ্ধই শুধু নয়, সুদানে সামরিক ও  আধাসামরিক বাহিনীর চলমান অস্থিরতায় দুর্ভোগের নতুন মাত্রা যোগ করছে লুটপাট। 

রাজধানী খার্তুমসহ বেশকিছু অঞ্চলে চলছে লুণ্ঠন। অভিযোগের আঙুল পুরোটাই আধাসামরিক বাহিনীর (আরএসএফ) দিকে। ব্যাংক ডাকাতি, স্বর্ণের বাজারে হানা, বাড়িগাড়িসহ সবকিছুকেই টার্গেট করছে লুটেরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়ি ও মালামাল চুরির পর মানুষের বাড়িতে ক্যাম্প স্থাপন করছে আরএসএফ বাহিনী। অভিযোগের তিরকে সম্পূর্ণ নাকোচ করে আরএসএফ। তাদের দাবি, লুটপাটের পেছনে সুদানের বিপজ্জনক কারাগার কোবার ও আল হুদার বন্দিরা দায়ী। তারা আরও বলেন, কিছু লোক আরএসএফের পোশাক পরিধান করে চুরি করছে।

খার্তুমে অবস্থানরত একজন প্রাথমিক শিক্ষক মোহাম্মদ সালেহ জানান, ‘আমরা এখন শয়তানের শহরে বাস করছি। আমাদের সবকিছু লুট হচ্ছে। সামরিক বা আধাসামরিক কেউই সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে চায় না। রাষ্ট্র কোথায়?’ ভয়ংকর এ পরিস্থিতিতে লুটপাটের ফলে খাদ্য, নগদ এবং প্রয়োজনীয় জিনিস খুব দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। 

সম্প্রতি মোবাইল ফোন, কাপড়ের দোকান, শিল্পাঞ্চলে একটি গমের কারখানায়ও ঘটেছে লুটপাটের ঘটনা। ওমদুরমানে তিনটি পণ্য ও স্টোরেজ সুবিধাকে ধ্বংস করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার একটি ভিডিওতে কাপড়-চোপড়সহ তোশক চুরি করে ট্রাকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের রক্ষা করার কেউ নেই। পুলিশ, রাষ্ট্র কেউই নেই। 

সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে এবং আমাদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।’ এরই মধ্যে সুদানের প্রধান জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহান তার ডেপুটি হামদান দাগলোকে (হেমেদতি) বরখাস্ত করেছেন। সার্বভৌম পরিষদ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বরখাস্তের ঘোষণা দেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম