২৬ বার এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড ছুঁলেন নেপালি শেরপা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম
নেপালি একজন শেরপা ২৬তম বারের মতো এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন। এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়লেন তিনি। ৪৬ বছর বয়স্ক পাসাং দাওয়া শেরপা ৮৮৪৯ মিটার (২৯,০৩২ ফুট) উচ্চতার সর্বোচ্চ পর্বত শিখরটিতে পৌঁছে স্পর্শ করলেন কামি রিতা শেরপার রেকর্ড। বিজ্ঞান কৈরালা নামে নেপালের একজন সরকারি পর্যটন কর্মকর্তার সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মজার ঘটনা এর আগে এককভাবে রেকর্ডটি যার ছিল সেই কামা রিতা শেরপাও এই মুহূর্তে এভারেস্টে আরোহণ করছেন। চূড়ায় পৌঁছতে পারলে আবার রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নিতে পারবেন তিনি।
ইমাজিন নেপাল ট্র্যাকস নামের যে হাইকিং কোম্পানিটিতে চাকরি করেন পাসাং দাওয়া তার একজন কর্মকর্তা জানান, একজন হাঙ্গেরীয় পর্বতারোহীকে নিয়ে চূড়াটি জয় করেছেন পাসাং দাওয়া।
শেরপারা সাধারণত তাদের নামের প্রথম অংশ ব্যবহার করেন। পর্বতে চড়ার অসাধারণ দক্ষতার জন্য তারা বিখ্যাত। বিভিন্ন পর্বতচূড়া জয়ের অভিযানে বিদেশি পর্বতারোহীদের গাইড হিসেবে কাজ করে জীবনধারণ করেন শেরপারা।
এভারেস্ট জয় করতে চাওয়া বিদেশি পর্বতারোহীদের জন্য রেকর্ড ৪৬৭টি পারমিট দিয়েছে এ বছর নেপাল।
দাওয়া ফুতি জানান, পাকিস্তানি নারী অভিযাত্রী নায়লা কাইনিও গত রোববার মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। এ বছরের চূড়ায় আরোহণের মৌসুমে প্রথম বিদেশি নাগরিক হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন নায়লা। সাধারণত এভারেস্ট জয়ের মূল মৌসুম মার্চ থেকে মে।
ঠিক কতজন বিদেশি পর্বতারোহী চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করছেন সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এক দিন আগেই পর্বতটির চূড়ার দড়িগুলো আটকানো হয়েছে। এ ধরনের দড়ি পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন পূরণে বেশ সাহায্য করে।
দুবাইয়ে বসবাস করা ৩৭ বছরের ব্যাংক কর্মকর্তা নায়লা এভারেস্ট জয়ের আগে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১৪টি চূড়ার চারটি জয় করেন। জানিয়েছে হিমালয়ান টাইমস নামের একটি সংবাদপত্র।
এভারেস্ট জয় করতে চাওয়া বিদেশি পর্বতারোহীদের জন্য রেকর্ড ৪৬৭টি পারমিট দিয়েছে এ বছর নেপাল। প্রত্যেক পর্বতারোহীর সঙ্গে সাধারণত অন্তত একজন শেরপা গাইড থাকেন।
হিমালয়ান ডেটাবেইস ও নেপালের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৩ সালে স্যার এডমন্ড হিলারি এবং শেরপা তেনজিং নোরগে প্রথমবার এভারেস্ট জয়ের পর এ পর্যন্ত ১১,০০০ বারের বেশি এভারেস্ট জয় হয়েছে। আর পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া জয়ের চেষ্টা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩২০ জন মানুষ।