সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জ্বলছে ভারতের মণিপুর। রাজ্যের মেতিস জাতিগোষ্ঠী ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যকার সংঘর্ষ এখনো চলছে। তবে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গত মাসে মেতিস জাতিগোষ্ঠীকে উপজাতি সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন মণিপুর হাইকোর্ট। কিন্তু এ বিষয়টির বিরোধিতা করে রাজ্যটির অন্য উপজাতিরা।
বুধবার এসব উপজাতি একটি বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে। ওই মিছিল থেকেই রাজধানী ইম্ফালাসহ প্রায় সব বিভাগে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতায় মণিপুরে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া এসব দাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে বাঁচতে অনেকে সেনাবাহিনীর সাহায্য কামনা করেছেন। তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার জনকে উদ্ধার করেছে।
উদ্ধারকৃতদের সেনাবাহিনীর জিম্মাতেই রাখা হয়েছে। এছাড়া সিকিম, মিজোরাম, ত্রিপুরাসহ অন্য রাজ্যগুলো মণিপুরে অবস্থানরত তাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রাজ্যের যেসব স্থানে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে সেসব অঞ্চলে সেনাবাহিনী কঠোর টহল দিচ্ছে।
এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের দেখামাত্র গুলিরও নির্দেশ দেওয়া আছে।
তবে সহিংসতার মাত্রা কমে আসায় চূড়াচাঁদপুরে রোববার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খাবার ও ওষুধ কেনার জন্য তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে অনেকে বাইরে বের হন। কারফিউ শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই আবারও সেনাবাহিনী, প্যারামিলিটারি আসাম রাইফেলসসহ অন্যান্য বাহিনীর টহল শুরু হয়।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ শুক্রবার রাতে আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এদিন রাতে থানা থেকে অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।