মায়ের মোবাইল ফোন ক্লোন করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে এক নাবালিকা কন্যার বিরুদ্ধে। ভারতের হরিদেবপুরে অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে এমনটি বেরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিকাল ৪টায় এ নাবালিকার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে তদন্তকারী পুলিশরা মনে করছেন, শৈশবের মানসিক টানাপোড়নের কারণেই এমনটা করেছে সে। ওই নাবালিকাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
পুলিশের দাবি, ইউটিউব দেখে ফোন ‘ক্লোন’করা শিখেছিল ওই নাবালিকা। তারপর মায়ের ফোন ‘ক্লোন’করে সে। মায়ের সঙ্গে তার ‘প্রেমিকের’কথোপকথনের ভুয়া ‘স্ক্রিনশট’ও তৈরি করে। তারপর সেগুলো ‘প্রমাণ’হিসাবে পুলিশকে দেখায়। ওই ভুয়া স্ক্রিনশটে ‘ষড়যন্ত্র এবং খুনের চক্রান্তের’প্রসঙ্গ ছিল। সেগুলি দেখেই সোমবার ওই নাবালিকার মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের কাছে ১৬ বছরের এ কিশোরী লিখিত অভিযোগে বলেন, খুনের চেষ্টা করেছিলেন তারই মা। তার মা সোনালি চন্দ ‘পরকীয়া’ সম্পর্কে জড়িত। প্রেমিকের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি কন্যাকে খুনের চক্রান্ত করেন। বাড়িতে কিশোরী থাকাকালীন মহিলা আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন। পরে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
মহিলার ‘প্রেমিক’৪০ বছর বয়সী প্রসূন মান্না হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা। তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী কিশোরীর বাবা এবং মা আলাদা থাকেন। মায়ের সঙ্গেই থাকে কন্যা। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক সমস্যার কারণে ওই নাবালিকা মানসিক অস্থিরতার শিকার হতে পারেন বলে পুলিশ ধারণা করছেন।