অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙা নিয়ে মমতার হুশিয়ারি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১১ পিএম
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি যেন খেলা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ পাঠিয়েছে অমর্ত্য সেনকে। তার বাড়ি প্রতীচী বেআইনি জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
বিশ্বভারতীর তেরো ডেসিমেল জায়গা অনধিকারভাবে ভোগ করছেন অমর্ত্য। এই জমি ফিরিয়ে না দিলে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হবে প্রতীচী।
তবে এ বিষয়ে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রোজ অমর্ত্য সেনের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে। আমি ওদের ক্ষমতার দম্ভ রোজ দেখছি। যদি ওরা অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভেঙে ফেলতে চায়, তবে আমি সেখানে বসে যাব। আমাকে দেখতে দিন। যদি ওরা এটা করে আমি সেখানে গিয়ে আগে দাঁড়াব। আমি দেখতে চাই কারা বেশি শক্তিশালী। বুলডোজার নাকি মানুষের শক্তি।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ১২ জন বুদ্ধিজীবীও চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে যে, তারা যেন এই কাজ করা থেকে নিবৃত্ত থাকেন। যে ১২ জন এই চিঠি দিয়েছেন তারা হলেন— পবিত্র সরকার, শমিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভঙ্কর চক্রবর্তী, মন্দাক্রান্তা সেন, অনিন্দিতা সর্বাধিকারী, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, কাজী কামাল নাসের, সব্যসাচী চক্রবর্তী, দেবজ্যোতি মিশ্র, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ এবং বাদশা মৈত্র।
অমর্ত্য সেন বিজেপির আর্থিক নীতির কঠোর সমালোচক। কিছু দিন আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তার নোবেল প্রাপ্তি নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই অমর্ত্য সেনের সমর্থক।
তার বিজেপি বিরোধিতা আর একটু কাছে এনে দিয়েছে দুপক্ষকে। অমর্ত্য সেনের বক্তব্য- আচার্য্য ক্ষিতি মোহন সেন এবং অমিতা সেনের আমল থেকে এই বাড়ি তিনি ভোগ করছেন। কখনো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। এখন এত প্রশ্ন কেন?