যে কারণে লাইভ সাক্ষাৎকার বন্ধ করতে হলো এরদোগানকে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০৬ পিএম
লাইভ সাক্ষাৎকারে তুর্কি নেতা রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ছবি: ব্লুমবার্গ
নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে তুরস্কে। আগামী ১৪ মে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই নির্বাচনি প্রচারে নিমগ্ন থাকতে হচ্ছে প্রধান প্রার্থী তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে।
মঙ্গলবার তিন তিনটি নির্বাচনি ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তার ওপর টিভিতে লাইভ প্রগ্রাম। সঙ্গত কারণেই এদিন এরদোগানের লাইভ সাক্ষাৎকারে বিঘ্ন ঘটে। প্রগ্রাম চলতে চলতেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় স্ক্রিনে শোনা যায় অচেনা কণ্ঠ।
খবরে বলা হয়েছে, ১৫ মিনিট পর ক্যামেরার সামনে আবারও ফিরে আসেন ৬৯ বছর বয়সি তুর্কি নেতা। এ সময় দর্শকদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। উল্কে টিভি এবং কানাল-৭ নামের দুটি চ্যানেল যৌথভাবে তার সরাসরি সাক্ষাৎকার প্রচার করছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, অসুস্থ হয়ে পড়া এবং অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটার জন্য দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এরদোগান। প্রায় ১৫ মিনিট পর ক্যামেরার সামনে ফিরে এসে এরদোগান বলেন, ‘গতকাল এবং আজ কঠোর পরিশ্রম ছিল। এ জন্যই আমার পেটে ফ্লু দেখা দিয়েছে।’
‘এক পর্যায়ে আমি ভাবছিলাম যে, আমরা অনুষ্ঠানটি বাতিল করলে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যাবে। যেহেতু আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমি আমাদের দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাই,‘ বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন এরদোগানের চোখ-মুখে ক্লান্তির ছাপ ছিল। কথা বলার সময় তার চোখে পানি এসে যাচ্ছিল। তবে সম্প্রচারটি শেষ করার আগে আরও কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন তুর্কি নেতা।
এরদোগান ও জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট তথা একে পাটি বিগত ২০ বছর ধরে তুরস্কের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। দুই দশকের শাসনামলে এবারই প্রথম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন এরদোগান।
সাম্প্রতিক সময়ে যেসব জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে, তাতে বিরোধী জোটের প্রার্থী কামাল কিলিকদারোগ্লুর সঙ্গে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। তাই শেষ পর্যন্ত কে হাসবেন শেষ হাসি, সেটা অনুমান করা কঠিন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।