নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সরকারি বাংলো ছেড়ে চলে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
২০০৫ সাল থেকে এই বাংলোতে তিনি অবস্থান করছিলেন। কিন্তু একটি মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ লোকসভার সদস্য পদ ধরে রাখার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
শনিবার ১২ তুঘলক লেনের সেই বাংলো ছেড়ে দিয়ে তিনি চলে গেলেন মা সোনিয়া গান্ধীর বাসস্থান ১০ জনপথে।
ভারতের আইন অনুসারে, অযোগ্য ঘোষিত কোনো এমপি সরকারি বাসভবন ব্যবহার করতে পারেন না। অযোগ্য ঘোষণার পর একমাস সময় দেওয়া হয় বাসাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবার ভোরে রাহুল গান্ধী এবং তার বোন ও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র দুইবার বাংলোতে গিয়েছেন।
লোকসভার আবাসন কমিটির প্রধান বিজেপি এমপি সিআর পাতিল এক চিঠিতে বাংলোটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাহুলকে বলেছিলেন। চিঠিতে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
সরকারি বাসস্থানের চাবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য লোকসভার হাউজিং কমিটির কাছে সম্ভবত সোমবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, শনিবার ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে বাড়ি ছেড়ে দিলেও চাবি হয়তো সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।
বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ পাওয়ার পরই রাহুলকে ‘বাড়ি দেওয়ার’ হিড়িক পড়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে ‘হ্যাশট্যাগ মেরা ঘর আপকা ঘর’ প্রচার ছড়িয়ে পড়ে।
কংগ্রেস নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ রাহুলকে নিজের ‘ঘর’ ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার শুরু করেন।
সেই উল্লেখ করে কংগ্রেস শনিবার টুইট করে বলে, ‘গোটা দেশই রাহুলের ঘরবাড়ি। দেশবাসীর হৃদয়ে রাহুলের বাস। এই সম্পর্ক চিরন্তন। কারও কাছে তিনি পুত্র, কারও ভাই, কারও কাছে তিনি নেতা। রাহুলের কাছে সবাই তাঁর, তিনিও সবার। সেই জন্যই আজ সবাই বলতে পারছে, রাহুলজি, আমার ঘর আপনারই ঘর।’
মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি হওয়ায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এক রায় অনুযায়ী রাহুল (৫২) লোকসভার সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারান।
গুজরাটের সুরাট জেলার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২৩ মার্চ ওই মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণার পর রাহুল বাংলো ছাড়ার নোটিশ পান ২৭ মার্চ।
সুরাটের ওই আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছিল, ওই চ্যালেঞ্জে বৃহস্পতিবার হারেন রাহুল। ফলে তার লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার পথ আপাতত রুদ্ধ হয়ে যায়।