অপেক্ষার অবসান ঘটল অবশেষে। ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো একটি প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল সিস্টেম পাঠাল জার্মানি। এর সঙ্গে এক সেট ক্ষেপণাস্ত্রও ইউক্রেনে স্থানান্তর করেছে বার্লিন।
মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (এমওডি) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও কিয়েভকে ১৬টি জেট্রোস ট্রাক, দুটি সীমান্ত টহল যান পাঠানো হয়েছে। জার্মানির পাঠানো প্রাণঘাতী ও সাধারণ অস্ত্রগুলোর মূল্য ২.৪১ মিলিয়ন ডলার। সরবরাহকৃত অস্ত্রগুলো ইউক্রেনের সামরিক সহায়তার বিতরণ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ইউক্রেনের বারবার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে প্যাট্রিয়ট এমআইএম-১০৪ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সরবরাহ করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের ওই সম্মতির পরপরই রাজি হয় জার্মানিও। মার্চে পেন্টাগনের শীর্ষ মুখপাত্র বিমানবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার সাংবাদিকদের জানান, প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির বিতরণ ত্বরান্বিত করা হবে। তবে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো তথ্য দেননি সে সময়। একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন ওকলাহোমার ফোর্ট সিলে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা সৈন্যরা তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করে ইউরোপে চলে গেছে।
প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমটি কবে পাঠানো হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ইউক্রেনের ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ইউরি ইহানাতের বরাত দিয়ে বলেন, ‘যখন অস্ত্রগুলোর সরবরাহ দেশে আসবে তখন আপনারা জানতে পারবেন কখন প্রথম রুশ বিমানটি গুলি করা হবে।’
পলিটিকোর গত মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনে জার্মানির যে প্যাট্রিয়ট সিস্টেম পাঠানো হবে তার উপাদানগুলো জার্মান ও ডাচ সিস্টেমের মিশ্রণ। নেদারল্যান্ডসও দেশটিকে দুটি প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।