
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: সংগৃহীত
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বের ছয় জাতি গোষ্ঠীর চুক্তি হয় ২০১৫ সালে। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে চুক্তিটি নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়।
তবে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আবারও চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আবারও থমকে যায় আলোচনা। বিশেষ করে, যুদ্ধে ইরান রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে- এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা একেবারেই থেমে যায়।
এমন প্রেক্ষাপটে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, তেহরান নিষেধাজ্ঞা অপসারণ এবং ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে আলোচনা থেকে সরে আসেনি। বরং একই সময়ে নিষেধাজ্ঞাগুলোকে নিরপেক্ষ করার চেষ্টা করছে।
রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত আলেম, জুমার নামাজের ইমাম, দল ও সেমিনারি ছাত্র এবং তরুণ অভিজাতদের সঙ্গে এক বৈঠকে মঙ্গলবার এমন কথা বলেন রাইসি। এ সময় তিনি তার প্রশাসনের রোডম্যাপ হিসেবে ‘ইসলামী বিপ্লবের দ্বিতীয় ধাপের ঘোষণা' বর্ণনা করেন। যা ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলি খামেনি প্রথম ঘোষণা করেছিলেন।
ইব্রাহিম রাইসি আরও বলেন, সরকার পারমাণবিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কখনোই আলোচনার টেবিল ছেড়ে যায়নি। বরং একই সঙ্গে আলোচনার টেবিলে সম্মানজনকভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি তা নিরপেক্ষ করার চেষ্টা করেছে।
জনগণকে হতাশায় নিমজ্জিত করার জন্য শত্রুর ষড়যন্ত্র এবং এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কিছু উপাদানের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে ইরানের প্রেসিডন্ট বলেন, এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সরকার ও জনগণকে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় বলেন, ইসলামী ব্যবস্থা সমস্ত মানবিক চাহিদার প্রতি মনোযোগ দেয় এবং আমরা সিস্টেমের সৈনিক হিসেবে ইমাম ও নেতার নির্দেশিত পথে চলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এক্ষেত্রে যেখানে যে বিচ্যুতি আছে, আমরা সেটা ঠিক করব।