মাত্র ৩৪ বছর বয়সে বিশ্বের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ৪ বছর পরে ডানপন্থীদের কাছে পরাজিত হলেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন।
রোববার দেশের সংসদীয় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ডানপন্থী এনসিপি সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে। তবে কোনো দলই সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারেনি। ফলে জোট সরকার গঠনের পথে হাঁটতে হবে দলগুলোকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ডানপন্থী বেশ কয়েকটি ছোট দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে এনসিপি।
২০০টি আসন রয়েছে ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্টে। তার মধ্যে ৪৮টি আসন জিতেছে ডানপন্থী এনসিপি। ৪৬টি আসন গিয়েছে ন্যাশনালিস্ট ফিনস পার্টির দখলে।
প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস পেয়েছে ৪৩টি আসন। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই এনসিপি নেতা পেত্তেরি ওর্পো সাফ জানিয়ে দেন, “আমরাই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছি। ফিনল্যান্ডের অর্থনীতির উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে আমরা সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করব।”
গত বছর একটি পার্টিতে অংশ নিয়ে নাচগান ও মদ্যপান করার ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর বিরোধীদের রোষানলে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী সানা। এমনকি মাদক পরীক্ষাও করাতে হয়েছিল তাকে।
তবে এসবের পরও সম্প্রতি একটি জরিপে সানা মারিন ফিনল্যান্ডে শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ইউরোপজুড়ে ডানপন্থীরা ক্রমে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনেক দেশেই ক্ষমতায় বসছে রক্ষণশীল দলগুলো। ফিনল্যান্ডের প্রতিবেশী সুইডেনেও জাতীয়তাবাদীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত বছর ইতালিতে জয়ী হয়েছে উগ্র ডানপন্থীরা। এবার ফিনল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ডানপন্থী দল এনসিপির পেত্তেরি ওর্পো।