জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভাপতিত্ব পাওয়ার মাধ্যমে আরেকবার আন্তর্জাতিক আইনকে ধর্ষণ করলো রাশিয়া। এমন দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক। খবর বিবিসির।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনকে আরেকবার ধর্ষণ করল তারা। যে দেশটি আগ্রাসনমূলক যুদ্ধ শুরু করেছে, মানবিক ও অপরাধের আইন ভঙ্গ করেছে, জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করেছে, পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা উপেক্ষা করেছে, তারা বিশ্বের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থার নেতৃত্ব দিতে পারে না।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্যসহ মোট ১৫টি দেশ রয়েছে। চক্রাকারে প্রত্যেক সদস্য দেশ এক মাস করে সভাপতিত্ব করে। আজ ১ তারিখ থেকে শুরু করে এপ্রিল মাসজুড়ে কাউন্সিলের দায়িত্ব থাকবে রাশিয়ার কাছে।
রাশিয়ার সভাপতিত্ব নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ‘এপ্রিল ফুলের সবচেয়ে সেরা জোকস এটি।’
এর আগে রাশিয়ার কাছে সভাপতিত্বের দায়িত্ব ছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই মাসেই ইউক্রেনে হামলা চালায় দেশটি।
এছাড়া রাশিয়া এমন সময় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দায়িত্বভার গ্রহণ করল— যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
এদিকে ইউক্রেনের আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়াকে সভাপতিত্বের দায়িত্ব নেওয়া থেকে আটকাতে পারেনি নিরাপত্তা কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, রাশিয়াও যেহেতু কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য। ফলে তাদের আটকানোর কোনো উপায় ছিল না।
রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এই কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য হলো যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং চীন।