নামাজে ইমামতি করছেন হামজা ইউসুফ। ছবি: টুইটার
সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন হামজা ইউসুফ। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই তরুণ প্রথমবারের মতো স্কটল্যান্ডের সংখ্যালঘু তথা মুসলিম নেতা নিযুক্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির সর্বকনিষ্ঠ নেতাও।
হামজা ইউসুফ সোমবার ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনসি) নেতা নির্বাচিত হন। আর দলীয় প্রধান হিসেবে তিনিই স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার (প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান)। এরপর মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হিসেবে শপথ নেন তিনি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার ফার্স্ট মিনিস্টার হিসেবে শপথ নেওয়ার পর স্কটিশ নেতার সরকারি বাসভবন বুট হাউসে উঠেছেন। সরকারি বাসভবনে প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন স্কটল্যান্ডের নবনিযুক্ত এই সংখ্যালঘু নেতা।
জিও নিউজ বলছে, বুট হাউসে মঙ্গলবার ইফতারের পর মাগরিবের নামাজে ইমামতি করেছেন হামজা ইউসুফ। তার কিছু ছবিও সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করেছেন হামজা নিজেই। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দুনিয়াজুড়ে বিশেষ করে পাকিস্তানসহ মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইউসুফ ফার্স্ট মিনিস্টার হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে চলে আসেন। সেখানে পরিবারের সঙ্গে ‘একটি বিশেষ মুহূর্ত’ টুইটারে শেয়ার করেছেন ৩৭ বছর বয়সি হামজা ইউসুফ।
টুইটারে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়- ইউসুফ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে আছেন। ইউসুফের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তার বাবা মুজাফফর ইউসুফ, মা শায়েস্তা ভুট্ট, স্ত্রী নাদিয়া এবং দুই মেয়ে।
অপর একটি ছবিতে তাকে নামাজে ইমামতি করতে দেখা যায়।
পোস্টে হামজা ইউসুফ লিখেছেন- রমজান মাসে একসঙ্গে রোজা ভাঙার পর তার পরিবারের পুরুষ সদস্যদের নামাজে নেতৃত্ব দেওয়া তাদের পরিবারের একটি ঐতিহ্য।
‘আজকের সংসদীয় ভোটের পর আমার পরিবার এবং আমি আমাদের প্রথম রাত বুট হাউসে কাটাচ্ছি। একটি বিশেষ মুহূর্ত, যা প্রথা অনুযায়ী একসঙ্গে ইফতারের পর বুট হাউসে আমার পরিবারের সদস্যদের প্রার্থনায় নেতৃত্ব দেওয়া’- বলেন নতুন স্কটিশ নেতা।