
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে আমন্ত্রণ জানাবে ইরান। এমন কথা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান। খবর তাসনিম নিউজ এজেন্সির।
সোমবার আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ইচ্ছা প্রকাশ করেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেন, সৌদি আরবের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এবার তেহরানের পক্ষ থেকেও সৌদি আরবের বাদশাহকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গত ১৯ মার্চ ইরানের প্রেসিডেন্টের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি এক টুইটবার্তায় জানান, ইরানের প্রেসিডেন্টকে সৌদি আরবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ।
এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট রাইসিকে সৌদি আরবে আমন্ত্রণ জানান বাদশাহ। এতে ইরানের সঙ্গে সৌদির অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আশা ব্যক্ত করেন বাদশাহ সালমান।
এদিকে ইরান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রমজান মাসের মধ্যেই বৈঠক করে চীনের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বাস্তবায়ন করবেন বলে একমত হয়েছেন।
সোমবার এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ফোন কলে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, ফোনকলে চীনে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ২ দেশের মন্ত্রী। চলমান রমজান মাসে ১টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজনে একমত হন তারা। তবে প্রতিবেদনে বৈঠক কোথায় এবং কবে হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, ৭ বছর আগে ছিন্ন সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পরবর্তী ধাপ এই বৈঠক। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ২ দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সৌদি সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের শিরোশ্ছেদ করলে ইরানে বড় আকারে বিক্ষোভ দেখা দেয়। তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিলে ২ দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ও সৌদি আরবের সুসম্পর্ক পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।