পুরনো মামলায় নয়া বিপাকে রাহুল। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার। পরদিন শুক্রবার তাকে দেশটির পার্লামেন্ট লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ নিয়ে অস্বস্তির মধ্যেই নতুন চাপে পড়লেন রাহুল।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, পুরনো মামলায় নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছেন কংগ্রেসের নেতা। ২০২১ সালে দিল্লিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের ছবি শেয়ার করার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১ আগস্ট ভারতের রাজধানী দিল্লির এক শ্মশানের প্রধান পুরোহিত ও তার চার সহকারী মিলে ৯ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে তার দেহ পুড়িয়ে দেয়। ভয় দেখিয়ে, টাকা দিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হয়। পরে রাহুল গান্ধী ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেদিনই নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি, যেখানে নির্যাতিতার মা-বাবার মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।
সেই ছবি ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। কারণ ভারতের ‘পকসো’ আইনের অধীনে ধর্ষিতা নাবালিকা বা তার পরিবারের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। বিষয়টি নজরে আসলে টুইটার থেকে ছবি সরানোর নির্দেশ দেয় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এর পর বিনীত জিন্দল নামের এক আইনজীবী রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। শীর্ষ আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন মকরন্দ সুরেশ মাধলেকার নামের এক সমাজকর্মী।
এদিন মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি শচিন দত্ত নোটিশ জারি করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের মতামত জানতে চেয়েছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৭ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে।